নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অন্যতম অঙ্গ কুমারী পুজো। অষ্টমীতে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পুজো মণ্ডপে এবং বনেদি বাড়িরগুলিতে কুমারী পুজোর প্রচলন আছে। আবার নবমীর দিনে তিথি ও রীতি মেনে কুমারী পুজো হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। মহানবমীর দিনে রীতি মেনেই নয় কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হল।
ন’জন কুমারীকে দেবী দুর্গার “নয় রূপে” পুজো করা হয় এই মন্দিরে। ১৩ বছর পর্যন্ত বয়সী নাবালিকাদের দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপে পুজো করার নিয়ম সর্বমঙ্গলা মন্দিরে।
দেবী এখানে অষ্টাদশভূজা। বয়সের প্রকারভেদ অনুসারে উমা, মালিনী, কুজ্জ্বিকা, সুভাগা, কালসন্দর্ভা সহ দেবীর ন’টি রূপে এখানে কুমারী বালিকাদের পুজো করার চল রয়েছে। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় সেই রাজ পরিবারের রীতিনীতি। নিয়মনিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না। নবকুমারী পুজো দেখতে এ বছরও সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বহ প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। অন্যান্য জায়গায় অষ্টমীতে কুমারী পুজো হলেও যেহেতু সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবরাত্রির পুজো হয় তাই এখানে নবমীতেই কুমারী পুজো হয়ে আসছে।
কথিত আছে বাহির সর্বমঙ্গলা অঞ্চলে বাস করা চুনুরীদের কাছ থেকে পাওয়া কষ্ঠি পাথরের অষ্টাদশী ভূজা দেবী মূর্তি বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। ১৭৪০ সালে রাজা কীর্তি চাঁদ অষ্টাদশী দেবী মূর্তিকে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে মহতাব চাঁদ মন্দির তৈরী করেন। রাজা ও রাজত্ব না থাকলেও রাজার নিয়ম নীতি সব এখনও বর্তমান। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনে অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় সেই রাজ পরিবারের রীতিনীতি। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না। বর্ধমান শহর ছাড়িয়ে জেলা ও ভিন জেলার বহু ভক্ত নবকুমারী পুজো দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন।