নিউজ ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক কী, কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে কী কোনও পদক্ষেপের কথা ভাবছে তারা? এই সব প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মনে। যদিও সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে মহুয়া-বিতর্কে দু’রকম সুর শোনা গেল তৃণমূলের অন্দরে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি সংসদের সঠিক ফোরাম তদন্ত করুক। তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে দল। অন্যদিকে, কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, “মহুয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ও যেহেতু একটু বেশি ভোকাল তাই এই রকম হচ্ছে।” যেখানে দলের দুই সদস্যের গলায় এই বিষয়ে ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে সেখানে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক কী? এনিয়ে মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “কোনও মন্তব্য নয়।”
উল্লেখ্য, ১৫ অক্টোবর মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে শিল্পপতি হীরানন্দানির কাছ থেকে নগদ ও অন্যান্য উপহারের বিনিময়ে সংসদে ওই শিল্পপতির স্বার্থে প্রশ্ন করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে তিনি এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। এরপর বিষয়টি সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে পাঠান ওম বিড়লা। এদিকে এতদিন এই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে এক প্রকার নীরবই ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অবশেষে মুখ খুলে ভিন্ন সুর শোনা গেল দু’জনের গলায়। এমনকী, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়েছেন হীরানন্দানিও।
এছাড়া মহুয়ার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদরি কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “হেনরি নামে পোষ্যটির বিনিময়ে আমার CBI প্রধানকে লেখা চিঠি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য জোর করা হয়।” আইনজীবীর অভিযোগ, একসময়কার বন্ধু মহুয়া মৈত্র তাঁর রটওয়েলার গোত্রের একটি পোষা কুকুরকে ‘অপহরণ’ করেছেন। বেআইনিভাবে নিজের কাছে আটকে রেখে দিয়েছেন পোষ্যটিকে।
এর মাঝে আবার মহুয়া পাল্টা মানহানির মামলা করেছেন দেহদরি ও দুবের বিরুদ্ধে। কিন্তু, সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তাঁর আইনজীবী। ফলে এই মুহূর্তে দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে এই মামলার শুনানি।