নিউজ ডেস্ক: পুজোর শেষদিনের নির্যাস শুষে নিতে নবমীর রাতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দশমীর সকাল থেকেই বিসর্জনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে অনেক পুজো মণ্ডপেই। বনেদি বাড়ি গুলিতে বিসর্জন হয়ে যায় দশমীর দিনেই। তেমন ভাবেই মায়ের নিরঞ্জনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে টাকি পুবের রাজ বাড়িতে। শারদীয়ার অন্তিম লগ্নে এখন বিরাজ করছে বিষাদের সুর।
দশমীর সন্ধ্যেতেই মায়ের বিসর্জন। সকাল ১০ টা থেকেই শয়ে শয়ে মানুষ জমায়েত হতে শুরু করেছে টাকি পুবের রাজবাড়িতে। চিরাচরিত রীতি মেনেই মায়ের নিরঞ্জন করা হয় এই রাজবাড়িতে। ৩০১ বছরের পুরানো এই রাজবাড়ির পুজো। রাজার আমল না থাকলেও রাজার হালেই পুজো হয় মা দুর্গার। আজও ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত টাকি শহরে ইছামতি নদীতে প্রথম প্রতিমার নিরঞ্জন হয় এই পুবের রাজবাড়িরই। তারপরেই একে একে সকল বারোয়ারি পুজো মণ্ডপগুলির প্রতিমা বিসর্জন হয়।
পুরোনো নিয়ম মেনেই ২৬জন বেয়ারার কাঁধে চেপে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে মা দুর্গা রওনা দেন ইছামতির ঘাটে। দশমী পুজোর পরে মায়ের যাত্রামঙ্গল পড়া হয়। তারপর শুরু হয় বরণ ও সিঁদুর খেলা। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এমনিতেই প্রতি বছর দুই বাংলার বিসর্জন দেখতে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। ইতোমধ্য়েই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘিরে ফেলেছে গোটা এলাকা।