নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজো হোক বা লক্ষ্মীপুজো গোটা অক্টোবর মাস ধরেই চলে উৎসবের মরসুম। আর এই উৎসবের মানেই নানান সাজের বাহার। তার মধ্যে নতুন জামা-জুতো-শাড়ি ছাড়াও রয়েছে প্রচুর গয়না। গয়না পরতে ভাল না বাসলেও সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কানের দুল পরতে ভোললে না কেউই। শাড়ির সঙ্গে একটা সুন্দর দুল কিংবা ঝুমকো পরে নিলেই সাজে আসে চমক। দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন কানে ভারী ভারী দুল পরার জন্য পরে অবশ্য অনেকেরই কানের লতিতে ব্যথা। সামনেই ফের লক্ষ্মী পুজো ও কালী পুজো। তাই কানে ভারী দুল পরার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই ভারী ঝুমকো পরলেও কানে ব্যথা হবে না, রইল তার হদিস।
১. বড় দুল বা ঝুমকো পরার আগে কানের লতিতে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। কানে হাত দেবেন না বা দুল পরার সময় কান টানাটানি করবেন না। শুকিয়ে এলে সাবধানে দুলটি পরে নিন। এতে কানে ব্যথাও হবে না। আবার কানে চাপও পড়বে না।
২. ওষুধের দোকানে অবশ করার জন্য বেশ কিছু ক্রিম পাওয়া যায়। নামিং ক্রিম বলেও পরিচিত সেই ক্রিম। এই ধরনের ক্রিমও কানের লতিতে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে কানের লতি অল্প অবশ হয়ে থাকলে ভারী দুল পরলেও ব্যথা করবে না।
৩. বেশির ভাগ সময় ভারী কানের দুলের সঙ্গে ছোট স্টিল রঙের একটি প্যাচ থাকে যা কানের লতিতে বেশি চাপ সৃষ্টি করে। ফলে কানে ব্যথা হয়। ভারী দুল পরলে এই ধরনের প্যাচের বদলে রবারের তৈরি প্যাচ ব্যবহার করুন। এটি কানের লতির উপর আলাদা চাপ সৃষ্টি করে না, আবার দুলটি শক্ত ভাবে ধরেও রাখে। ফলে খুলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
৪. শাড়ির সঙ্গে ঝুমকো না পরলে মনে হয় সাজ অপূর্ণ থেকে গেল। কিন্তু কানে ব্যথা হওয়ার ভয়ে অনেকেই ভারী দুল বা ঝুমকো পরতে চান না। এ ক্ষেত্রে বড় অথচ হালকা দুল বেছে নিতে পারেন।