নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার আদালতের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তারপর রাজ্যের বনমন্ত্রীকে এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আদালত জানিয়েছে, সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে ইডি হেফাজতে যেতে হবে।
এর মধ্যেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ককে আবার তলব করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার ডাক পেয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান অমিত দে। ২০১১ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই তাঁর আপ্ত সহায়ক হন অমিত দে। বৃহস্পতিবার অমিত দে-র নাগেরবাজারের দুটি বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। দ্বিতীয়বার তাঁকে ইডি তলব করায় জল্পনা বেড়েছে। ইডির নজরে রয়েছে অমিত দে-র বিশাল সম্পত্তি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মোবাইল ফোন পাসওয়ার্ড দিয়ে খুলে দেওয়ার জন্য অমিতকে তলব করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ইডি দাবি করেছে, তিনটি ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে। বাকিবুরের ওই সংস্থাগুলি থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দু’দফায় ৮০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলেও ফেরত দেননি। আবার জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালে নগদ ৬ কোটি টাকা জমা পড়ে বলে দাবি ইডির। মন্ত্রীর মেয়ের নামে ব্যাঙ্কে জমা পড়েছিল ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এল তা নিয়েই প্রশ্ন ইডির। রেশন বণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডের টাকা ব্যাঙ্কে পৌঁছেছিল বলে ইডি মনে করছে।