নিউজ ডেস্ক: এদের সব এক মডেল।পার্থ, অর্পিতা, বালু (জ্যোতিপ্রিয়)বাকিবুর
সবার এক । দীঘায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেনামে বিলাসবহুল চারটি হোটেল রয়েছে। হোটেলের নাম , ছবি এবং লিজ হোল্ডারদের নাম প্রকাশ
করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পত্তির খতিয়ান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আরও অভিযোগ মন্ত্রীর দাদাও জড়িত দুর্নীতির সঙ্গে। এপ্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার উক্তি, “পাবলিক সার্ভিস কমিশন লুট করেছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মেম্বার ছিলেন দেবপ্রিয় মল্লিক। লুঠের মাস্টার। স্বাভাবিকভাবে উনি পিএসসি স্ক্যামের সঙ্গে যুক্ত”।
প্রসঙ্গত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয়
মল্লিক সোমবার সকালে হাতে নথি নিয়ে তিনি ইডি দফতরে এলেন। সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডিকে একটি এক পাতার চিঠি
জমা দিলেন রেশন বণ্টন ‘দুর্নীতি’ কাণ্ডে
ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সোমবার
সকাল ১০টা নাগাদ তিনি ইডি দফতরে যান। ১১টার পর বেরিয়ে আসেন। সিজিও থেকে বেরিয়ে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিলেন ধৃত মন্ত্রীর দাদা।
শুধু মন্ত্রীর দাদাকেই নয় মেয়েকেও তলব করে ইডি। টিউশনি
পড়িয়ে নাকি প্রায় চার কোটি টাকা কামিয়েছেন তিনি। কোন জাদু বলে তিনি কোটি টাকার মালকিন
হলেন তা জানাতে রবিবার সিজিওতে
এসেছিলেন মন্ত্রী-কন্যা প্রিয়দর্শিনী। সংবাদমাধ্যমের
প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান প্রিয়দর্শিনী। তবে কী
কারণে সিজিও-তে এসেছিলেন তা জানতে
চাওয়া হলে কার্যত মেজাজ হারান মন্ত্রীর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। সাংবাদিকদের বুম
ক্যামেরা ধাক্কা দিয়েই গাড়িতে উঠে পড়েন।
বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, “গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কলকাতা
পুলিশের সিপি , ডিআইজি মনোজ মালব্য ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে । সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লিপস অ্যান্ড
বাউন্ডস কোম্পানির দুই ডিরেক্টর যারা সমন পেয়েছিলেন তাদেরকে মুখ্যমন্ত্রীর
বাড়িতে কলকাতা পুলিশের আওতায় রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে
হাই পাওয়ার সিসিটিভি এবং দুজন আর্মস সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছে। ২ ডিরেক্টর নিজেদের
বাড়ি না থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে থাকছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার নিজের বাড়িতে যে
সিকিউরিটি পান তার ভাইপো এবার থেকে সেই সিকিউরিটি পাবেন। সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে”।