নিউজ ডেস্ক: যুবতীকে ভিডিও করে লাগাতার গণধর্ষন করার অভিযোগ।
মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও বানিয়ে তার সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার নামে ব্ল্যাকমেইল
করে দিনের পর দিন ওই যুবতীর উপর চলছিল ভয়ঙ্কর নির্যাতন এমনটাই অভিযোগ।
জানা গেছে অভিযোগকারিনী ছয় যুবকের নামে
অভিযোগ দায়ের করে। এর সঙ্গে আরও তিন যুবকের যোগ রয়েছে বলেও
জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ছয় জনের নামে থাকা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্ত
আলাউদ্দিন খান ও লালুয়া ওরফে শাহাদাত খানকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাতে মূল
অভিযুক্ত সুলতান খানকে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ। শিলিগুড়ি আদালত
অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের পুলিশের নির্দেশ দিয়েছে। ধৃত মূল অভিযুক্ত সুলতান খান।
বাকি তিন অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
জানা
গেছে ঘটনার সূত্রপাত ২০২২
সালে। শিলিগুড়ি প্রধাননগর শালবাড়ি নিবাসী এক যুবতীকে অভিযুক্ত ওই এলাকারই বাসিন্দা সুলতান খান ও কালুয়া নামে দুই প্রতিবেশী
যুবক ধর্ষণ করে। যুবতীর অভিযোগ সকাল ১০-১১টা নাগাদ বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ওই দুই যুবক
সেই সুযোগ নিয়ে ওই যুবতীকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্ব ধর্ষণ করে। সুলতান প্রথমে ওই
যুবতীর উপর চড়াও হয় সে সময় এই পুরো অশালীন ভিডিও তৈরি করে কালুয়া। এরপর
কালুয়া থেকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। যুবতীকে ওই ভিডিও দেখিয়ে তা সামাজিক মাধ্যমিক
ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হয়। যাতে যুবতী কোনভাবেই মুখ না খোলে। এর
ঠিক চার মাস পর ফের যুবতী বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে সুলতান তার আরও দুই
বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই ভিডিও দেখে যুবতীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে তারা। পরপর তিন
যুবকের গণধর্ষণের শিকার হয় যুবতী। যুবতীর অভিযোগ জইনুল ও সন্তু খান নামে দুই যুবক
মূল অভিযুক্ত সুলতানের সঙ্গে মিলে ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে। এরপরও ভিডিও সামাজিক
মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেনি
যুবতী। তবে এখানেই শেষ নয় এরপর বেশ কিছুদিনের মধ্যেই ফের জইনুল তার তুই সঙ্গী
নজরুল এবং লালুয়াকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবতীর বাড়িতে এসে তাকে যৌন সঙ্গমে বাধ্য করে।
পরবর্তীতে চলতি বছর ১১ই জুন সুলতান ফের ওই যুবতীর পরিবারের সকলে বাইরে থাকায় সেই
সুযোগে যুবতীর উপর চড়া হয়ে যৌন নির্যাতন চালায়। এরপর ওই যুবতি আত্মহরণের চেষ্টা
করলে তার পরিবার বাধা দেওয়ায় পুরো বিষয়টি জানাজানি হয়। পরিবার বিষয়টি জানতে
এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে। পরবর্তীতে গত ১৭ই জুন প্রধান নগর
থানায় এলে সেখান থেকে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়েরের কথা জানানো হয়। মহিলা থানায়
অভিযোগ দায়েরের পরই গ্রেপ্তার হয় সন্তু ওরফে আলাউদ্দিন খান
এবং লালুয়া ওরফে শহাদাত। বাকি অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়।
শনিবার মূল অভিযুক্ত সুলতানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় শিলিগুড়ি মহিলা থানার
পুলিশ। রবিবার অভিযোগ তোকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। শিলিগুড়ি আদালতের
সরকারি আইনজীবী সুশান্ত নিয়োগী বলেন অভিযুক্তকে পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জেল হেফাজতে বলিস ওই তিনজনকে সামনাসামনি জেরা
করবে। আগামী ৬ নভেম্বর তিনজনকে আদালতে পেশ করা হবে।