নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে তাদের পক্ষে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জমি অধিগ্রহণ সম্পূর্ণ বাতিল করে সেই সময় শীর্ষ আদালতের রায় ছিল, জমি ফেরত দিয়ে দিতে হবে সিঙ্গুরের মানুষকে। শীর্ষ আদালতের সেই রায়কে নিজেদের নৈতিক জয় বলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর ফিকে হয়ে গেল জয়ের আনন্দ। সোমবার তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সাফ জানিয়ে দিল, টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে হবে বাংলার সরকারকে। শুধু তাই নয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।
মোটরগাড়ি তৈরির কারখানার জন্য ২০০৬ সালে সিঙ্গুরের প্রায় ১০০০ একর জমি টাটা গোষ্ঠীকে দিয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। পুরো জমিটাই কৃষিজমি হওয়ায় সরকারের বিরোধীতা করে সিঙ্গুরের একাংশের কৃষক। তাদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়ান তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনের জেরে ২০০৮ সালে কারখানা তৈরির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয় টাটা গোষ্ঠী।
তারপর জল গড়িয়েছে বহু দূর। ২০১১ সালে বিপুল জনসমর্থনে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের একাংশের দাবি, তৃণমূলের এই জয়ের তুরুপের তাস ছিল সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের বিষয়টি। অন্যদিকে, আন্দোলনের ফলস্বরূপ সুপ্রিম কোর্টও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে রায় দেয়।
প্রসঙ্গত, কোষাগারে টাকা নেই বলে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। সেই নিয়ে মামলা চলছে। আবার একের পর এক দুর্নীতি মামলায় জেল মুখো তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এই আবহে ট্রাইব্যুনালের রায়ে শিরে সংক্রান্তি রাজ্যের, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের।