নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল
থেকে সোমবার রাতে ছুটি পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাতেই
তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ইডি। বাড়ি থেকে জামা ও খাবারও
পাঠানো হয় মন্ত্রীর জন্য। মন্ত্রী কন্যা তথা উচ্চ শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী
মল্লিক তার পিতার জন্য খাবার ও জামা কাপড় নিয়ে যান। তবে রাতে আর জ্যোতিপ্রিয়কে জেরা
করা হয়নি বলে জানা যায়। মঙ্গলে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। মন্ত্রীকে
মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে মন্ত্রীর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু হয় হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার
পর থেকে। তদন্তকারীদের মত ছিল, একান্ত জেরায় যে সব বিষয়
বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় অস্বীকার করে এসেছে, মুখোমুখি বসিয়ে
জেরা করলে হয়ত সেটা আর তাঁরা করতে পারবেন না। আপাতত সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায়
ইডি অন্যদিকে তদন্তের মোড় ঘোরাচ্ছে।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়
মল্লিকের জন্য আলাদা সেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছেন দুজন কেন্দ্রীয় জওয়ান
ও একজন রাজ্য পুলিশের কর্মী। আদালতে নির্দেশ ছিল
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বাড়ির খাবার এবং পোশাক দেওয়া যাবে।
সেসব নিয়ে রাতে হাজিরে হয়েছিলেন অভিযুক্ত মন্ত্রীর কন্যা তথা উচ্চ শিক্ষা সঙ্গসের
সচিব প্রিয়দর্শনী মল্লিক। রাতে বাড়ির
খাবারের পর সকালে লিকার চা ও পাউরুটি খেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। নিজেদের হেফাজতে রেখেই মন্ত্রীকে জেরা করবে
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মন্ত্রীর স্ত্রী ও কন্যার
ব্যাংকের লকারের চাবিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইডির তরফে।
অতীতে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মন্ডলের ক্ষেত্রে
গ্রেফতারের পর শরীর খারাপের মডেল একই। গ্রেফতার হলেই অসুস্থ হয়ে যান নেতারা। হাসপাতালে
ভর্তি হওয়ার ফন্দি খোঁজেন। সামান্য অসুস্থতাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দিয়ে জামিনের আবেদন করেন
তাঁদের আইনজীবীরা। অতীতে দেখা গেছে নেতার এমন অঙ্গে অসুখ বলা হল যা তার দেহে নেই। অনুব্রত
মন্ডলের এসএসকেএম পর্ব হয়ত মনে থাকবে অনেকের। বহু বলিউড সিনেমায় নেতাদের কাতর আবেদন
নিয়ে কৌতুক দৃশ্য রয়েছে। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে গেলেন।
হেঁটে হাসপাতাল থেকে বের হলেন। সিজিও কমপ্লেক্সে হেঁটেই ঢুকলেন। তাহলে কি এবার জ্যোতিপ্রিয়
জেরা পর্ব শেষে আরও বড় কেউ কী বিপদে পড়তে চলেছেন। তা অবশ্য বলবে সময়।