নিউজ ডেস্ক: ‘ঝাড়ু লাগাও ঘোটালা হটাও’ এই স্লোগান দিয়ে দিল্লির মসনদে এসেছিলেন তিনি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এবার সেই ‘দুর্নীতি বিরোধী’ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২ নভেম্বর দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে ১৬ এপ্রিল একই মামলায় তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় কেজরিওয়ালকে। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার সমস্ত প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পেরেছিলেন বলে জানান আম আদমি পার্টির প্রধান।
এই মামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আগেই দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, আপ সাংসদ সঞ্জয়কে জেরা করে বেশকিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হবে। মামলার প্রথম এফআইআর-এ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও চার্জশিটে কেজরির নাম রয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, আবগারি কেলেঙ্কারির অভিযোগের তদন্তে প্রথম গ্রেফতার হন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে মণীশের জামিনের আবেদন। ৩৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মণীশের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে, ৪ অক্টোবর আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং-কে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বাসভবনে তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে।
বিজেপির অভিযোগ, বিশাল এই কেলেঙ্কারির ‘কিং পিন’ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই অভিযোগ কতটা যুক্তিযুক্ত তা খতিয়ে দেখার জন্য এবার কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠাল ইডি।