নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। লড়াই করেই বাঁচতে হবে! কারণ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে মনে করা হবে হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করছে ইজরায়েলি শক্তি। রাষ্ট্রসংঘ সহ শান্তিকামী দেশগুলির যুদ্ধ বন্ধের আবেদনের উত্তরে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হামাসকে কড়া জবাব দিতে গাজায় ঢুকে যুদ্ধ শুরু করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। দু’পক্ষের এই লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার মানুষের। এই আবহে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে পশ্চিমের একাধিক শক্তিধর দেশ। তবে সেই আবেদন রাখতে পারবে না ইজরায়েল স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন নেতানিয়াহু। তেল আভিভে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না। যুদ্ধবিরতি মানেই হামাসের সামনে ইজরায়েলের আত্মসমর্পণ, সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ। সেটা কোনও মতেই সম্ভব নয়। এই যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করবে ইজরায়েল।” অস্তিত্ব রক্ষার এই লড়াইয়ে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিদের সমূলে উৎখাত করার বার্তা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের মধ্যে হামাসকে ‘নাৎসি’-এর সঙ্গে তুলনা করেছে ইজরায়েল। নিরাপত্তা পরিষদে সেদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাদ এরদান বলেন, “হামাস আধুনিক যুগের নাৎসি। ১৬ বছর ধরে তারাই গাজায় শাসন করছে। প্যালেস্তিনীয়দের ‘হিউম্যান শিল্ড’ হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। গাজার মানুষের জন্য পাঠানো খাবার, ওষুধ সহ সমস্ত সাহায্য আটকে রেখেছে হামাসরা।” এই আবহে হামাসের সঙ্গে কোনও আলোচনা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গিলাদ।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী ৭ অক্টোবর থেকে সোমবার পর্যন্ত সেদেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮,৩০০-র বেশি। ইজরায়েল জানিয়েছে, ২৩০জন ইজরায়েলি পণবন্দি বর্তমানে হামাসের হাতে রয়েছেন। তাঁদের নিরাপদে মুক্ত করা আইডিএফ-এর প্রধান লক্ষ্য।