নিউজ ডেস্ক: শীতের হিমেল হাওয়া এবার গায়ে লাগতে শুরু করেছে। ফুরফুরে বাতাসে শীতের আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগার ঝুঁকিও। পুজো শেষ হতে না হতেই সর্দি-জ্বরে কাবু হয়েছেন অনেকেই। প্রতি বছর শীতের শুরুতেই বাড়তে থাকে ফ্লুয়ের প্রভাব। ফ্লু হল শীতকালের সাধারণ একটি সমস্যা। মূলত ভাইরাস সংক্রমণের ফলেই এমন হয়। শীতকালে ঠান্ডা লেগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকেরই বেড়ে যায়। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়া জরুরি। কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলেই শীত পড়ার আগে ফ্লুয়ের হাত থেকে বাঁচা যায়।
১) হাঁচি, কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ, নাক থেকে জল পড়া, গলাব্যথা— এগুলি হল ফ্লু-এর সাধারণ লক্ষণ। এই উপসর্গগুলি যদি তিন দিনের বেশি থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঠান্ডা লাগলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) শ্বাসকষ্টজনিত কোনোরকম সমস্যা হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যথাসম্ভব খেয়াল রাখুন।
৩) শীতের শুরুতেই ঠান্ডা লাগলে দেহ গরম রাখার ব্যবস্থা করুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম এই সময় দেহ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হিমেল বাতাসে দেহে আরাম লাগলেও কান চাপা দিয়ে রাখুন। এছাড়াও জ্বর হলে অত্যধিক মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন, উদ্বেগের কারণে শরীর আরও কাহিল হয়ে পড়তে পারে।
৪) জ্বর, সর্দি-কাশি হলে মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এই সময় বাড়ির খাবার খাওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরি। বাইরের তেল-মশলাদার খাবার খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
৫) বেশি করে জল, সুষম আহার খাওয়া দরকার। ডায়েটে সবুজ শাকসবজি ও ফল রাখতে হবে।