নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে আইফোন হ্যাকিংয়ের সতর্কবার্তা পেয়েছেন বলে প্রথম জানান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পরে একই অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীরা। আর এই অভিযোগের ভিত্তি আইফোনে আসা সতর্কবার্তা। যা নিয়ে অ্যাপল জানিয়ে দিল, কিছু বার্তা ‘মিথ্যে সংকেত’ হতে পারে। যদিও এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
সমাজমাধ্যমে মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, তাঁর কাছে ফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সতর্কবার্তা এসেছে। তিনি জানান, তাঁর আইফোনে আসা সতর্কবার্তায় লেখা রয়েছে, “রাষ্ট্রপরিচালিত হ্যাকারেরা আপনাকে টার্গেট করেছে। অ্যাপল আইডির সঙ্গে আপনার যে আইফোন যুক্ত আছে সেটি হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হচ্ছে।” এমনকী সাবধান করে বলা হয়েছিল হ্যাকারেরা একবার ঢুকে গেলে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন সব ওদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। তাই এই সতর্কবার্তা যেন উপেক্ষা না করেন।
এরপরে রাহুল গান্ধী, শশী থারুর-সহ অনেকে জানান আইফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সতর্কবার্তা পেয়েছেন। এনিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। শশী থারুর জানান, তিনি ওই বার্তা খতিয়ে দেখেছেন সেটি অ্যাপল পাঠিয়েছে। এনিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই বিজেপি অভিযোগ করে এথিক্স কমিটির তলব থেকে নজর ঘোরাতেই মহুয়া এমন দাবি করেছেন।
পরে অ্যাপল বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, ‘‘কিছু নোটিফিকেশন অনেক সময়ই মিথ্যে সংকেত হতে পারে। আবার অনেক হামলা ধরাই পড়ে না।’’ তবে এ বিষয়ে বেশি তথ্য দিতে চায়নি অ্যাপল। ওই সংস্থার বক্তব্য, বেশি তথ্য দিলে তা ভবিষ্যতে সুবিধা করে দেবে ‘রাষ্ট্রপরিচালিত হামলাকারী’দেরই।
বিরোধীদের সমালোচনার মুখে এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। কেন বিরোধী নেতাদের আইফোনে ‘রাষ্ট্রের মদতে হ্যাকিংয়ের’ সতর্কবার্তা দিল অ্যাপল? তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, অ্যাপলের ওই সতর্কবার্তায় যে বক্তব্য ছিল তার কোনও ব্যাখ্যা কেন্দ্রের কাছে নেই। আরও অন্তত দেড়শোটি দেশে এমন বার্তা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ওই সতর্কবার্তা পেয়েছেন, তাঁরা যেন তদন্তে সহযোগিতা করেন”।