নিউজ ডেস্ক: বেঁচে থাকলে আজ সে সাবালক হত। শরীর নেই তার। তবে মানুষের মনে আজও
বেঁচে আছে সে। যাদবপুরের মত প্রতিষ্ঠানের কিছুটা হলেও বদল আনতে সক্কখম হয়েছে তার বলিদান। জন্মদিনে তার মায়ের চোখে জল।
৯ আগস্ট বুধবার
যাদবপুরের হোস্টেলে মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের ।
বাড়ি ছিল তার নদীয়ার বগুলায়। ৩১ অক্টোবর, আজ তার
জন্মদিন। আজ নাবালক থেকে সাবালক হল সে। অর্থাৎ আজ আঠারো বছরে
পা দিল মৃত ওই পড়ুয়া। তার জন্মদিনে সে যে নেই তার পরিবারের
সঙ্গে। কিন্তু ১৮ বছরের জন্মদিন নিয়ে কতই না পরিকল্পনা ছিল
তার। জন্মদিনের দিন সকলেই আনন্দ করত প্রতিবছর। কিন্তু স্বপ্নদ্বীপের
জন্মদিনে যেন শোকের ছায়া পড়ল তার পরিবারে। মৃত ওই পড়ুয়ার ফটোতে রজনীগন্ধার মালা ও মিষ্টির প্লেট সাজিয়ে
তার জন্মদিন পালন করল পরিবার।
যাদবপুরের ওই পড়ুয়া বরাবরই আনন্দ করতে পছন্দ করত বলে জানালেন তার মামা।
কোন অনুষ্ঠান বা পূজোতে ওই পড়ুয়া ও তার পরিবার একসঙ্গে আনন্দ
করত। গত বছর জন্মদিনে তার পরিবার ও তার মামার বাড়ির সকলে খুবই হইচই করেছে বলে জানান তার মামা। কিন্তু এ বছর তার জন্মদিনে সে নিজেই নেই তার
পরিবারের সাথে। স্বপ্নদ্বীপের ভাই রত্নজিত কুন্ডু বলেন, আজ দাদার
জন্মদিন। খুব মনে পড়ছে। দাদার অনেক পরিকল্পনা ছিল তার ১৮ বছরের জন্মদিন নিয়ে। কিন্তু আজ তার জন্মদিনে সারা পরিবারে যেন তার
জন্মদিন নিয়ে শোকের ছায়া পড়ে গিয়েছে। ওই পড়ুয়ার খুব
ইচ্ছা ছিল ১৮ বছর পূর্ণ হলে তার ভোটার কার্ড হবে। তারপর সে একজন নিজে ভোটার হবে”। তার মা নিজেই ডিএলএ’তে কাজ
করেন। তিনি বলেন,
“ছেলে বিরিয়ানি খেতে খুবই পছন্দ করত। কিন্তু আজ সে আজ তার
পরিবারের সাথে না থাকায় তাকে শুধু জল মিষ্টিতেই সন্তুষ্ট করা হয়েছে”।
সন্তান ছাড়া
মায়ের কোল নিঃস্ব। ছেলের জন্মদিনের দিন সকলের কাছে তিনি একটাই প্রার্থনা করেছেন
তার ছেলে মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তারা যেন সকলেই চরম শাস্তি
পায়। তারা যদি সঠিক শাস্তি পান তাহলেই
আত্মা শান্তি পাবে। মামা অরূপ কুন্ডু একই দাবি করছেন সকলের কাছে।