নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর মামলায় টাটা গোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে নবান্ন। এর মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষতিপূরণের টাকা কোথা থেকে মেটাবেন তা নিয়েই বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি।
টাটা গোষ্ঠীকে ৭৫৬.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। সূত্রের খবর ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যেতে পারে রাজ্য সরকার। তবে হাইকোর্টে যাবে-না সুপ্রিম কোর্টে সে বিষয়েও আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে বিরোধী দলনেতা বলেন, “করদাতাদের টাকা থেকে যেন টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয়”। তাহলে কোথা থেকে আসবে টাকা? শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি ফান্ড থেকে ওই টাকা দিতে হবে”। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল সিঙ্গুর আন্দোলনের। সে সময় জমি দিতে অনিচ্ছুকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত বিরোধীদের আন্দোলনের জেরেই একসময় টাটার ন্যানো প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতো ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মমতার মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জমি ফেরত দিয়ে সেখানে সর্ষের বীজ ছড়িয়েছিলেন মমতা। এরপর আরও দু’বার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এখন টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি ওদের সব জানি। তৃণমূলের ফান্ডে (তহবিল)৮০০ কোটি টাকা আছে। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে ডিয়ার লটারি। করদাতাদের টাকা টাটা গোষ্ঠীকে দিলে বিরাট লড়াই হবে, বিরাট লড়াই করব”।
অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিও ক্ষতিপূরণ কোথা থেকে দেওয়া হবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। ক্ষতিপূরণ ও সুদ সহ প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা দিতে হবে। এরপরে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে ছুটলে জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ হবে। তৃণমূল নেত্রীর হঠকারী আন্দোলনের ফলে আজ এই দিন দেখতে হচ্ছে।”