নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ‘ক্যাশ ফর কোয়েরি’ বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সওয়াল করেছেন। এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরার আগে তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তুললেন এথিক্স কমিটির এক্তিয়ার নিয়ে। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হবে মহুয়া মৈত্রকে। দিল্লি রওনার আগে কলকাতায় মহুয়া বললেন, ‘আমাকে ঝাঁসির রানি করে দিচ্ছে। এটা ওদের বড় ভুল’।
মঙ্গলবার বিকেলে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরকে দু’পাতার চিঠি দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেই চিঠির প্রতিলিপি প্রকাশ করেছেন। সেখানেও ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে এথিক্স কমিটির তদন্তের অধিকার আছে কিনা সে প্রশ্ন তুলেছেন। ওই চিঠিতে মহুয়া জানিয়েছেন তিনি ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু এথিক্স কমিটি তার আগে তলব করায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টাতেই হাজিরা দেবেন।
কলকাতায় দাঁড়িয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমি অবশ্যই যাব, সব অভিযোগ দুরমুশ করব। প্রত্যেকটা অভিযোগ ধরে ধরে বিছিন্ন করব”। কিন্তু তিনি কি সাংসদ পদ খোয়ানোর ভয় পাচ্ছেন? এ প্রশ্নের জবাবে মহুয়া বলেন, “সাংসদ পদ খারিজের ক্ষমতা নেই এথিক্স কমিটির। তবে তারা এ বিষয়ে সুপারিশ করতে পারে। আমার মাথার একটা চুলও ছিঁড়তে পারবে না”।
এত কথা বললেও মহুয়ার মুখে আশঙ্কার ছাপও দেখা গিয়েছে। নিজেই বলেছেন তাঁকে আটকানোর জন্য শীতকালীন অধিবেশনে সাসপেন্ড করে দিতে পারে। যদিও এথিক্স কমিটিকে মহুয়া লিখেছেন, আইনজীবী জয় দেহদ্রাই বা শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানি অভিযোগের কোনও তথ্য প্রমাণ জমা দেয়নি।
অন্যদিকে লোকসভার সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ লজ্জাজনক বলে সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরের সাংসদ বলেন, “একটা অন্যায় করে সেটা চাপা দেওয়ার জন্য হাজার মিথ্যা কথা বলছেন। উনি (ঘুষ) নিয়েছেন কি নেননি সেটা জিজ্ঞাসাবাদে প্রমাণ হবে। লোকে শুধু টাকা নেয় না, গাড়ি-বাড়ি-গিফট নিয়ে নিচ্ছে। কী নিয়েছেন সেটা তদন্তে প্রকাশ হবে। অন্যায় উনি করেছেন এটা উনি মেনে নিচ্ছেন এবং যারা সুযোগ নিয়েছে তারাও মেনে নিয়েছে। একজন সাংসদের অনৈতিক কাজ আমাদের দেশের রাজনৈতিক গণতন্ত্রের পক্ষে খুব দুঃখ ও লজ্জাজনক।”