নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন। ভারত ওই প্রকল্পগুলিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। তিন প্রকল্পের অন্যতম হল আখাউড়া-আগরতলা ক্রস বর্ডার রেল লিঙ্ক। এই রেল লিঙ্কের ফলে যাতায়াতের সুবিধা হবে।
কলকাতা থেকে আগরতলা যেতে এখন প্রায় ৩৮ ঘণ্টা সময় লাগে। উত্তরবঙ্গ, গুয়াহাটি হয়ে আগরতলায় পৌঁছতে হয়। কিন্তু আখাউড়া-আগরতলা রেল লিঙ্কের ফলে বাংলাদেশ হয়ে মাত্র ১২ ঘণ্টায় কলকাতা থেকে আগরতলা পৌঁছনো যাবে।
ভারতের সহয়তায় বাংলাদেশে তৈরি আরও দুটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে বুধবার। আখাউড়া-আগরতলা ক্রস বর্ডার রেল লিঙ্ক ছাড়া ওই দুই প্রকল্প হল খুলনা-মংলা বন্দর রেল লাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট-২। এদিন প্রকল্পগুলির উদ্বোধনে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “বিগত ৯ বছরে আমরা যে কাজ করেছি। কয়েক দশকে এতো কাজ হয়নি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন এই প্রকল্পগুলির সিদ্ধান্ত তাঁরাই নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আখাউড়া-আগরতলা রেল লিঙ্ক উদ্বোধন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত”। কারণ, উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রথম রেল সংযোগ।
ভারত যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহয়তা করে চলেছে এদিন তা উল্লেখ করেন মোদী। শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত পূর্ণ সহায়তা করবে। বাংলাদেশের ১২ জেলায় ১২টি আইটি পার্ক তৈরিতে ভারত সহায়তা করছে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন সফল হবে”।
প্রধানমন্ত্রী জানান ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিরন্তর নতুন উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে। তিনি বলেন, “সীমান্তে শান্তি, সুরক্ষা বজায় রাখতে ল্যান্ড বাউন্ডারি এগ্রিমেন্ট হয়েছে, সমুদ্রসীমা নিয়েও বিবাদের মীমাংসা হয়েছে।দুই দেশের মানুষের আশা পূরণে আমরা পরিকাঠামো ও যোগাযোগে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। বিগত ৯ বছরে তিনটি নতুন বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। এর ফলে ঢাকা, আগরতলা, শিলং, গুয়াহাটি ও কলকাতাকে জুড়ে রয়েছে বাস পরিষেবা। ৯ বছরে তিনটি নতুন ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কন্টেনার ও পার্সেল ট্রেনও চলছে। গঙ্গা বিলাশ ক্রুজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চালু হওয়ায় পর্যটনের দরজাও খুলে গিয়েছে”।