নিউজ ডেস্ক: তাঁদের আমলে যে ভুল হয়েছিল
স্বীকার করে নিলেন সুজন চক্রবর্তী। সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো কারখানা সরে গিয়েও রাজনীতির
আঙিনায় আছে বহাল তবিয়তে। টাটা গোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১৩৫০ কোটি টাকা দেওয়ার
কথা ঘোষণা হতেই ফের টাটা বিতারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
ভুল হয়েছিল অকপটে স্বীকার করেও সুজন চক্রবর্তী খোঁচা দায় নিতে হবে মমতাকেই। সুজন বলেন, “মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা জনমত গড়তে পারিনি, এটা নিশ্চয়ই ব্যর্থতা। মানুষ যখন মমতাকে বেঁচে নিয়েছে তাহলে ফলও ভুগতে হতে পারে। মমতা যত দিন থাকবে বাংলার সর্বনাশ বন্ধ হবে না”।
অন্য দিকে টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্য থেকে তাড়ানোর সিদ্ধান্ত
ভূল ছিল মনে করছে বামেদের শরিক আইএসএফ দলের একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজনৈতিক কৌশলের সমালোচনা করেন তিনি। রাজ্যের ব্যর্থতা তুলে ধরেন তিনি বলেন, “ওনার (মমতা) ভূল সিদ্ধান্তের জন্য আবার মানুষকে ভূগতে হবে। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আবার ক্ষতিপূরণ হবে। ট্যাক্সের টাকায় আবার মামলা লড়বে সরকার। ক্ষতিপূরণ আরও বাড়বে”।
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই
আর্বিট্রারি ট্রাইব্যুনালের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে
যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে যদি ক্ষতিপূরণ দিতেই হয় তাহলে তা যেন ট্যাক্সের
টাকা থেকে না হয় হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ” তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে ডিয়ার লটারির টাকা ঢুকেছে। ৮০০ কোটি টাকার বেশি রয়েছে পার্টি ফান্ডে। ওখান থেকেই টাকা মেটাতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকে কোনমতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে না, তাহলে আন্দোলন হবে”।
প্রসঙ্গত সিঙ্গুর থেকে
টাটা বিদায়ের পর সেখানে অন্য কোন শিল্প হয়নি। শুধু ধু ধু মাঠ। মমতা চাষের নিদান দিলেও
জমি হারিয়েছে উর্বরতা। শিল্প চাষ সব হারিয়ে শুধুই হতাশা সিঙ্গুরে।