নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয়
মল্লিককে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুনরায় বনমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উক্তি, “খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতিপ্রিয়র আমলে এক কোটির বেশি নকল
রেশন কার্ড ধরা পড়েছিল। রেশন কার্ডের
স্বচ্ছতা এসেছিল ওর আমলে।
প্রসঙ্গত এদিনই
তার আপ্ত সহায়ক অমিত দে’কে সল্টলেকে ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে জেরা করা হয়। এদিন পঞ্চম বারের
জন্য তার ডাক পড়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। অথচ এদিন
অভিযুক্ত মন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে
মন্ত্রী ও তার পরিবার-পরিজনের দিকেও আঙুল উঠছে সেখানে তদন্ত চলাকালীন
মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য অনুচিত বলে মনে করছে বিরোধীরা। একইসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর সম্পদ সম্পর্কে
প্রশ্ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী
দলীয় অনুষ্ঠান থেকে বলেন, “কালীঘাটের নালার পাশে জমি দখল করার স্বভাব ওদের থাকতে পারে অধিকারী
পরিবারের নেই। বাম আমল থেকেই আমাদের ব্যবসা ছিল। সবকিছুর উল্লেখ আছে ইনকাম ট্যাক্সে। ওদের পরিবারের অনেকেই কোটি টাকার মালিক হয়ে ইঙ্কাম
ট্যাক্স দেয় না। লোকের জমি দখল করে”।
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “এইভাবে গ্রেপ্তার
করে দমানো যাবে না। এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। চক্রান্ত চলছে। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার
চেষ্টা চলছে। আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। যারা বড় বড় কথা বলছেন সেই এক কোটি ফেক রেশন কার্ড
থাকা মানে সেটা তারা রেশন তুলত। টাকাটা
কোথায় যেত? আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত হয়েছে? এই কাজটা করতে গিয়ে আমাদের সাত আট বছর সময় লেগে গিয়েছে। এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড আমরা বাতিল করেছি”।