নিউজ ডেস্ক: ১৪
দিন জেল হেফাজতের পর জলপাইগুড়ি দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত
যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার জেলা আদালতের সিজেএম কোর্টে
তোলা হল। ১৮ অক্টোবর জেলা আদালত অভিযুক্ত সৈকতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
দিয়েছিল। অসুস্থ থাকার কারণে এ দিন সৈকত এতদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে
সদর হাসপাতালে ছিলেন।
এ দিন হাসপাতাল
থেকে সোজা জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। হাজতের বাইরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পুলিশের জিপে প্রায় দেড় ঘণ্টা বসে থাকায় পর হাজতে নিয়ে যাওয়া হয় সৈকতকে।
এ দিন দুপুরে আদালতের নির্দেশে ফের হাজত থেকে সৈকতকে কোর্টে তোলা হয়। কোর্টে ওঠার আগে সৈকত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমি
নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হয়েছিলাম। এখন অনেকটা স্থিতিশীল। এখন শুনানির জন্য আদালতে
যাচ্ছি। শুনানির পর বলতে পারব। ”
উল্লেখ্য ১
এপ্রিল জলপাইগুড়ি পান্ডা পাড়ার দম্পতি
অর্পনা ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্য অস্বাভাবিক মৃত্যুর হয়। আত্মহত্যার
প্ররোচনার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সৈকত সহ তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। সকলের জামিন
পেলেও সৈকত পলাতক ছিল। ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলা আদালতে দ্বারস্থ
হয় সৈকত। দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের পর ১৮ অক্টোবর ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার পর এ
দিন আবার আদালতে হাজির করা হল তাঁকে।