নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি তদন্ত যত এগোচ্ছে তত নতুন তথ্য সামনে আসছে। একদিকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অন্যদিকে কম্যান্ড হাসপাতাল মন্ত্রীর চিকিৎসা না করার আবেদন জমা দিয়েছে হাইকোর্টে। কিন্তু আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফলে ইডি হেফাজতে থাকার সময় কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনও বাধা নেই।
এরই মধ্যে জ্যোতিপ্রিয়র পাশাপাশি তার আপ্তসহায়ক অমিত দে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেখান থেকেই অনেক তথ্য উঠে আসছে বলে সূত্রের খবর। বাকিবুর বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক কীভাব হলেন তা নিয়ে কৌতূহল অনেক। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুর কনভয়েই থাকত বাকিবুরের গাড়ি। মন্ত্রীর এতটাই স্নেহধন্য ছিলেন বাকিবুর। তার একাধিক ব্যবসা রয়েছে।
পাশাপাশি এটাও জানা যাচ্ছে, জ্যোতিপ্রিয় অনেক সময়ই সাবধানতা অবলম্বন করতেন। বাকিবুরের সঙ্গে নিজের ফোন থেকে কথা বলতেন না। ইডি সূত্রে খবর আপ্তসহায়কের ফোন থেকেই বাকিবুরের সঙ্গে কথা চলত। তবে খাদ্য দফতরেই বাকিবুরের সঙ্গে বৈঠক করতেন জ্যোতিপ্রিয়। এও জানা যাচ্ছে, বাকিবুরের সঙ্গে রেশন ডিলারদের যোগসাজশ ছিল। রেশন ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বাকিবুর। কার্যত এসব বাকিবুরই সামলে নিতেন।
রেশন বণ্টন দু্র্নীতি তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিজিৎ দাস জানান তিনি আড়াই বছর আপ্তসহায়ক ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি ছেড়ে দেন। তবে বৃহস্পতিবার নেতাজিনগরে জ্যোতিপ্রিয়র সিএ শান্তনু ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। জানা গিয়েছে রেশন বণ্টন দুর্নীতির টাকা দুটি সংস্থায় ঢুকেছিল।