নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাত সামনে চলে
এল নদিয়ার হরিণঘাটা মোহনপুরের বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যার জেরে
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রয়াত সুধাংশুভূষণ চ্যাটার্জির একটি মূর্তি
উদ্বোধন না করেই ফিরে যেতে হলো রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে। এই দুটি
মূর্তি প্রতিষ্ঠার একটি উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা কল্যাণী
বিধানসভার প্রধান নীলিমেশ রায়চৌধুরী। অন্যটির উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান
ছাত্ররা।
জানা গেছে, বুধবার
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রয়াত সুধাংশু ভূষণ চট্টোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনে ও লাইব্রেরিতে দুটি উন্মোচন করার কথা
ছিল এদিন। কিন্তু মন্ত্রী প্রশাসনিক ভবনের মূর্তিটি উন্মোচন করেই ফিরে যান।
লাইব্রেরির মূর্তিটির জন্য রেখে যান ফুল-মালা। যার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষাকর্মী-শিক্ষক মহলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য গৌতম সাহা সাফাই দিয়ে জানান, লাইব্রেরির অনুষ্ঠানটি
দেরিতে শুরু হবে বলে তাঁকে চলে যেতে হয়েছে। তাঁর রেখে যাওয়া ফুল-মালা দিয়েই শুরু
হবে অনুষ্ঠান।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কৃষিমন্ত্রী
১০০ দিনের কাজের বিষয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি
বলেন, “এরাজ্যে ভুয়ো জবকার্ডের যে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে
তারচেয়ে অনেক বেশি ভুয়ো জবকার্ড রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে”।
পাশাপাশি তিনি কল্যাণীতে দুর্গাপুজো দেখতে আসা ও পুরস্কার প্রদান নিয়েও মন্তব্য
করে আরও বলেন, “যে কেউ পুজো দেখতে আসতেই পারেন। তবে তার জন্য
পুরস্কার প্রদান হাস্যকর বিষয়। তবে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করার জন্য তিনি লুমিনাস
ক্লাবের প্রশংসা করেন। তাঁরা সঠিক দাবি জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন”।