নিউজ ডেস্ক: লাল শাড়ি-রঙিন সানগ্লাসে খোশ মেজাজে এসেছিলেন, আর এথিক্স কমিটির সামনাসামনি হয়ে বেরিয়ে এলেন উত্তেজিত হয়ে। ‘ব্যক্তিগত’ এবং ‘অনৈতিক’ প্রশ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান মহুয়া মৈত্র সহ বিরোধী সাংসদরা।
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন-র অভিযোগে বক্তব্য জানার জন্য এদিন মহুয়াকে ডেকে পাঠানো হয়। ঘুষের অভিযোগ রয়েছে তাতে কী! এদিন সকাল ১১টায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হাতে দুই লাখি ব্যাগ নিয়ে সংসদের অ্যানেক্স ভবনে পৌঁছন মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও ভাবখানা ছিল যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু বেলা গড়াতেই দৃশ্যটা সম্পূর্ণ বদলে গেল। কমিটির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, “ওরা নোংরা প্রশ্ন করছে।”
এথিক্স কমিটি সূত্রের খবর, এদিন প্রাথমিকভাবে দুটি প্রশ্ন করা হয় মহুয়াকে। এক, দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে তিনি সংসদের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন কি না? দুই, বিদেশ থেকে মোট ৪৭ বার ওই আইডি, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে কি না? অবশ্য বৈঠক থেকে বেরিয়ে সেবিষয়ে কিছুই বললেন না মহুয়া। বরং উলটে কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তিনি।
অবশ্য বৈঠকের আগেই এথিক্স কমিটির অধিকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। বিশ্লেষক মহলের দাবি, এদিন এই দৃশ্য দেখা যাবে তার আঁচ আগেই পাওয়া গিয়েছিল এথিক্স কমিটিকে লেখা মহুয়ার চিঠি দেখে। অন্যদিকে, হাজিরার আগেই বুধবার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লেখেন তৃণমূল সাংসদ। অ্যাপলের সতর্কবার্তা পেয়ে ফোনে আড়িপাতার চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন মহুয়া, রাহুলরা। সাংসদের উপর রাষ্ট্র পরিচালিত আক্রমণ করা হচ্ছে বলে লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠিতে অভিযোগ করেন মহুয়া।
মহুয়াদের অভিযোগের উত্তরে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার জানান, অভিযোগ থেকে বাঁচার জন্য ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন মহুয়া।