নিউজ ডেস্ক: হাতি দেখতে গিয়ে মানুষের পদপিষ্ট হয়ে আহত হল এক বাসিন্দা। হরেন্দ্র নাথ বর্মন
নামে ওই ব্যক্তিকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বনকর্মীরা দিনভর
প্রচেষ্টা চালালেও দিনহাটায় হাতিগুলিকে বনে ফিরিয়ে নেওয়া
এখনো সম্ভব হয়নি। সারা দিন এলাকায় হাতির দল দাপিয়ে বেড়ায়। ফসল নষ্ট করে। এতগুলি জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক ও দীর্ঘ পথ পেরিয়ে কি করে এই হাতিগুলি
এই এলাকায় এল তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে বন কর্মীদের। চিলাপাতা কিংবা জলদাপাড়া
জঙ্গল থেকে হাতিগুলি এসেছে বলে বন দপ্তরের অনুমান। একসঙ্গে এতগুলি হাতি দাপিয়ে
বেড়ানোয় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রচন্ড আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন সকালে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের মাতালহাটের
ভূতকুড়া এলাকায় ধান ক্ষেতে ছয়টি হাতিকে দাপিয়ে
বেড়াতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা একের পর এক জমিতে ফসল নষ্ট করছিল। ঘটনার
কথা জানতে পেরে এলাকার ব্যাপক সংখ্যক মানুষ ভিড় জমান। মানুষ দেখতে পেয়ে হাতিগুলি
তাদের তাড়া করতে আসে। সেই সময় হরেন্দ্রনাথ বর্মন নামে এক বাসিন্দা হঠাৎই মাটিতে
পড়ে যান। তিনি পদপৃষ্ট হয়ে প্রচন্ড আহত হন। তড়িঘড়ি তাকে দিনহাটা মহকুমা
হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ভূতকূরা এলাকায় হাতির উপস্থিতি জানতে
পেরে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা বাসিন্দাদের সাবধানে থাকার জন্যই ঘোষণা
করেন। বনকর্মীরা দিনভর চেষ্টা চালিয়েও ওই হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে
পারেনি। তবে রাতের অন্ধকারে ওই হাতিগুলি বনে ফিরে যেতে পারে এমনটাই আশা প্রকাশ
করছেন বন কর্মীরা। বন বিভাগের কোচবিহার রেঞ্জের এডিএফও বিজন নাথ জানিয়েছেন, “চিলাপাতা কিংবা জলদাপাড়া অরণ্য থেকে এই হাতিগুলি দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এই
এলাকায় আসতে পারে”। এদিকে ভূতকুড়া এলাকায় হাতির
উপস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রচন্ড আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের
বক্তব্য অবশ্যই রাত জেগে পাহারা দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।