নিউজ ডেস্ক: রাখাল দুর্লভ খুনের ৭২ ঘণ্টার
মধ্যে খুনিদের গ্রেফতার করল চাকদা থানার পুলিশ। সোমবার রাখাল
দুর্লভের মৃত্যুর পর মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই গতকাল রাতে নদিয়ার
হরিণঘাটা থেকে খুনীদের গ্রেফতার করল চাকদা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত ওই তিন জনের নাম , সাহারুল মিয়া, শাকিব মন্ডল ও সিন্টু মন্ডল।
উল্লেখ্য সোমবার চাকদা থানার অন্তর্গত সুটরায়
দুই হাত বাধা অবস্থায় রাস্তার পাশ থেকে রাখাল দুর্লভের মৃতদেহ উদ্ধার করে চাকদা
থানার পুলিশ। প্রথম অবস্থায় তার মৃতদেহ সনাক্তকরণ করা যায়নি। কিন্তু পুলিশের দীর্ঘক্ষণের তদন্তের জানা যায় যে ওই ব্যক্তির নাম রাখাল
দুর্লভ। বয়স ৩০ বছর এবং তার বাড়ি তাতলা ১ নং পঞ্চায়েতের
মসরা গ্রামে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিল যে ওই ব্যক্তির
সাথে কারো রকম ঝামেলা অশান্তি ছিল না। কি কারণে কে
তাকে খুন করেছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না। এরপরই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে চাকদা
থানার পুলিশ প্রশাসন। অবশেষে গতকাল রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মোবাইলের টাওয়ার লোকেট করে পুলিশ
প্রথমে বিরহী সোনাখালি পাঁচপুকুরিয়ায় সাহারুল মিয়ার বাড়িতে যান। এরপর তাকে জেরা করে তার আরও দুই বন্ধুর খোঁজ পান তদন্তকারী অফিসাররা। এরপর
সাহারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দুই বন্ধুর খোঁজে তাদের বাড়িতে যায় কিন্তু
তারা বাড়িতে ছিল না। পরিবার সূত্রে পুলিশ জানতে পারে তারা দুজন দরাপপুরের মেলায়
গেছে। এরপর ওই দুই বন্ধুরও মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেট করা হয়। চাকদা থানার আইসি তৎক্ষণাৎ
মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেট করে মেলা থেকেই ওই দুই বন্ধুকে হরিণঘাটা সংলগ্ন
এলাকা থেকে তাদেরকে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশি জেরায় প্রত্যেকেই
স্বীকার করে নিয়েছে যে তারাই রাখাল দুর্লভকে খুন করেছে দাবি পুলিশের।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান রাখাল দুর্লভের কাছে
যে ভ্যানটি ছিল সেই ভ্যান ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে তাকে
খুন করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত রাখাল দূর্লভের মৃত্যুর ঘটনার সবদিক খতিয়ে দেখছে
চাকদা থানার পুলিশ প্রশাসন। অপরদিকে খুনিরা ধরা পড়ায় মৃত রাখাল দুর্লভের দাদা
মহিতোষ দুর্লভ দোষীদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় সেই দাবি জানিয়েছেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার সংসার ভেসে যাচ্ছে তাই তাদের যেন কিছু আর্থিক
সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয় এই দাবিও করেন প্রশাসনের কাছে।