নিউজ ডেস্ক: বিডিওর বিদায় সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে কেঁদে ভাসালেন বিধায়ক।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের ঘটনা। বিডিও শানু বক্সি বদলি হচ্ছেন। তার চলে যাওয়ার দুঃখ
যেন মেনে নিতে পারছেন না নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে। পাল্টা বিধায়ককে সান্ত্বনা
দিতে দেখা গেল মহিলা বিডিওকে।
আগেই বদলি হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ বিডিও। বৃহস্পতিবার বিকেলে
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শানু বক্সী অন্যত্র বদলি হয়ে
যাওয়ার দুঃখের রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছতে দেখা গেল শাসকদলের
বিধায়ক সুকুমার দেকে। বিধায়কের অবস্থা দেখে খানিকটা
অস্বস্তিতে পড়েন বিডিও শানু বকশি। তাঁকে স্বাভাবিক হতে
বলেন তিনি। যাওয়ার আগে বিডিও বলেন, “ আমি
অফিস মনে করে কাজ করিনি।
বাড়ি মনে করে কাজ করেছি। মানুষগুলোকে পরিবার মনে করে কাজ
করেছি”। তার সুরে এই সুর মিলিয়ে
সুকুমার দে বলেন, “করোনার সময় উনি বিডিও হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে মানুষের পাশে
দাঁড়িয়েছেন। মানুষের মনে তাই দাগ
কেটে গেছে”।
অবশ্য যে মানুষদের দোহাই দিয়ে কাঁদলেন বিধায়ক। তাদের অবশ্য কাঁদতে দেখা যায়নি। রমনী বিডির
বিদায় বেলায় একা বিধায়কের চোখে জল দেখে কটাক্ষ ছুঁড়েছে বিরোধীরা। জেলা বিজেপির নেতা প্রদীপ দাস বলেন, “বাস্তবেই শাসক দলের আপন হয়ে গিয়েছিলেন বিডিও দিদিমণি। দুজনে মিলে লুটেপুটে খেয়েছেন। তাই উনি চলে যাচ্ছেন
দেখে দুঃখ হচ্ছে বিধায়কের। জেলা সিপিএমের নেতা পরিতোষ
পট্টনায়ক বলেন, “তৃণমূল বিধায়ক বিডিওকে
দিয়ে শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন সিপিএম সদস্যকে গ্রেফতার
করিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতার মত কাজ করতেন বিডিও। উনি বদলি হয়েছেন বলে বিধায়কের চোখে জল থাকবেই”।