নিউজ ডেস্ক: মমতাদি জানেন। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোয়াধ্যায়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। আমি মুক্ত। সব প্রকাশ হবে। আমি দলের সঙ্গে আছি। দল
আমার সঙ্গে আছে। কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বললেন রেশন বন্টন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
বালুকে ফাঁসানো হয়েছে আগেই দাবি করেছেন মমতা। কার্নিভালের মঞ্চ
থেকেও জ্যোতিপ্রিয়র খোঁজ নিয়েছিলেন মমতা। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতারে অন্তরর্ঘাত
হয়ে থাকতে পারে বলে মনে কড়া হচ্ছে। মমতা সব জানেন কিন্তু অভিযুক্ত মন্ত্রী মুখে বিজেপির
কথা বললেও ঘুরিয়ে কী অন্তর্ঘাতের কথা বলতে চাইলেন এদিন তা বলবে সময়।
অন্যদিকে টানা জেরার পরেও তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় ইডি। জানা
গেছে মেরুন ডায়েরির পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে তিনটি নোটবুক। যেখানে বালু দা বলে একটি নামের
উল্লেখ রয়েছে। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অভিজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই
তিনিটি অ্যাকাউন্ট নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও বহু বেনামী
অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি। যেই অ্যাাকাউন্ট যেখান থেকে কালো টাকা লেনদেন করে সাদা
করা হত বলে অভিযোগ। দুটি ভুয়ো কোম্পানির সঙ্গে শান্তনু ভট্টাচার্য যুক্ত ছিলেন বলে
অভিযোগ উঠছে। এগুলি থেকে ব্যবসা না হলেও কোটি কোটি টাকা লেনদেন হত। এগুলির সঙ্গে মন্ত্রীর
যোগ কি তা নিয়ে আজ পুনরায় জিজ্ঞাসবাদ করা হবে মন্ত্রীকে।
শুধুমাত্র টেন্ডার বা ধান কেনার সময় দুর্নীতি নয় খাদ্য দফতরের
গোডাউন থেকেও মাল বের করে বাজারে বিক্রির বিষয়টিও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ছত্রে
ছত্রে পেঁয়াজের খোসার মত দুর্নীতির কারবারিরা এক অপরের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। নকল কৃষকদের
সমবায় থেকে মাল কিনত খাদ্য দফতর। আবার সরকারের দেওয়া টাকা পেতেন সেই নকল কৃষকরা। তদন্তে
নিত্য নতুন তথ্য পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। রেশন বন্টন যারা করেন সেই রেশন ডিলারদের সংগঠনের
কয়েকজনও রয়েছেন ইডির নজরে।