নিউজ ডেস্ক: যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে সারা বছরই তারা কম বেশি জ্বর সর্দি কাশিতে ভোগেন। শীতের শুরুতে এই মরশুম বদলের সময় তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শীতের আবহে এমনিতেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে সহজেই ঠান্ডা লাগার মতো রোগ বা ভাইরাল জ্বর জাঁকিয়ে ধরে। তাই এইসময় জীবনযাত্রায় কিছুটা বদল আনা উচিত। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকলে সহজেই এই সমস্ত রোগের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে তাই পাতে রাখুন এই পাঁচটি খাবার।
১. কাঁচা হলুদ
হলুদের গুণ সকলেরই জানা। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দেহের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচায়। বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে কাঁচা হলুদ। তাই শুধু শীতকালেই নয়, সারা বছর সুস্থ থাকতে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন।
২. রসুন
ফ্লু জাতীয় কোনও সমস্যা বা ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গে লড়তে শক্তি জোগায় রসুন। দেহ উষ্ণ রেখে শীতকালীন গলা ব্যথার হাত থেকেও নিমেষে মুক্তি দেয় রসুন। গরম ভাতে কাঁচা রসুন বেশ উপকারী। তবে কাঁচা রসুন খেতে সমস্যা হলে রান্নায় বেশি করে রসুন দিতে পারেন।
৩. আদা
ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ আদা বিপাক পদ্ধতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আদার অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে হজমের গোলমাল থেকেও দূরে রাখতে সাহায্য করে আদা।
৪. দুধ
দুধ শুধু মাত্র দেহ উষ্ণ রাখতেই সাহায্য করে না বরং গলা ব্যাথাতেও আরাম পেতে সাহায্য করে। দুধের পুষ্টিগুণ অসুস্থ হয়ে পড়লে দেহে শক্তি যোগান দেয়। তাই সুস্থ থাকতে রোজ ইষদুষ্ণ দুধ খাওয়া ভালো।
৫. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কমলালেবু, পালং শাক, লঙ্কা, লেটুস ইত্যাদি ফল এবং শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। অনেকে আবার ভিটামিনের সাপ্লিমেন্টও খান। তবে চিকিৎসকরা বলেন, সাপ্লিমেন্টের বদলে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল ও সব্জি খাওয়াই বেশি উপকারী।