নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের আয়রন ডোম, আমেরিকার পেট্রিয়ট ডিফেন্স সিস্টেমের
চেয়ে বেশি দুরপাল্লার মারক ক্ষমতা সম্পন্ন ভুমি থেকে আকাশে শত্রু বিধ্বংসী মিসাইল সিস্টেম
তৈরি করতে চলেছে ভারতে। যার প্রাথমিক নাম প্রজেক্ট “কুশ”। অন্তত ৩৫০ কিলোমিটার দূর
পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম হবে রাশিয়ার এস ৪০০, আমেরিকার পেট্রিয়ট কিংবা ইজরায়েলের আয়রন
ডোমের মত এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিসাইল।
ভারতের কাছে এই মুহুর্তে এস ৪০০ সিস্টেম রয়েছে। তাহলে
কেন জরুরী হয়ে পড়ল নিজস্ব মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের। ভারতের হাতে এই মুহুর্তে তিনটি
স্কোয়াড্রন রয়েছে এস ৪০০’এর। মোট পাঁচটির বরাত দিয়েছিল ভারত। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের
জেরে দুটি স্কোয়াড্রন এখনও ভারতের
হাতে আসেনি। ফলে আগামী দিনে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ভারতের যাতে
অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে না থাকতে হয় তার জন্যই ভারত নিজস্ব দূর পাল্লার
মিসাইল সিস্টেম তৈরি করতে চায়।
জানেন কি ভারত এই মুহূর্তে শত্রুর হাত থেকে
বাঁচতে কতগুলি মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে। S 400 ছাড় ভারতের
হাতে রয়েছে। বারাক
৮, আকাশ, ত্রিশূল, পৃথিবী আকাশ ডিফেন্স সিস্টেম।
এর মধ্যে আকাশ,
ত্রিশূল, ও পৃথিবী ভারতের নিজস্ব মিসাইল সিস্টেম। ভারতের হাতে এতগুলো মিসাইল সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও নতুন মিসাইল
সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা কেন। প্রতিরক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এগুলির মারক
ক্ষমতা প্রজেক্ট কুশের মারক ক্ষমতার চেয়ে কম। প্রস্তাবিত প্রজেক্ট কুশের
মিসাইল সিস্টেম সর্বোচ্চ ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুর বিমান ড্রোন কিংবা
ক্ষেপণাস্ত্র যেকোনও লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারবে।
ভারত ছাড়া আর কোন কোন দেশের কাছে
রয়েছে আধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। আমেরিকার হাতে রয়েছে পেট্রিয়ট সিস্টেমের রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার। রাশিয়ার এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেমের রেঞ্জ ৩৮০ কিলোমিটার। ইজরায়েলের বারাক ৮ সিস্টেমের রেঞ্জ ৯০
কিলোমিটার এবং সর্বাধিক প্রচারিত আয়রন
ডোমের রেঞ্জ ৭০কিলোমিটার।ডিআরডিও সূত্রে জানা গেছে অপারেশন কুশ
থেকে যে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি হবে তা ২০২৮–২৯ সাল নাগাদ সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত হবে। এর জন্য ২১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে কেন্দ্র সরকার। ডিআরডিওর তত্ত্বাবধানে সরকারি এবং বেসরকারি
অংশীদারদের সাহায্যে তৈরি হবে এই নতুন মিসাইল সিস্টেম।
পাকিস্তানের কাছে দূরপাল্লার এই ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকলেও চীনের কাছে
দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে। তবে সেগুলির
ক্ষমতার রাশিয়ার এস ৪০০ তুলনায় কম। তবু ভারত এই ক্ষেত্রে কোন
ঝুঁকি নিতে নারাজ।