নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা
দুর্নীতিতে জেলে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কয়লা ও গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল তিনি ও জেলে সম্প্রতি
গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জনপ্রিয় মল্লিক এবার বেটিং
অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে নাম জোরালো মুখ্যমন্ত্রীর। অভিযোগ বেটিং অ্যাপ থেকে ৫০৮ কোটি টাকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির।
কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী সংস্থার দাবি মহাদেব নামে
একটি বেটিং অ্যাপের কর্মকর্তাদের
কাছ থেকে ৫০৮ কোটি টাকা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে।
এই বেটিং অ্যাপের জন্য বিজ্ঞাপন করার অভিযোগ উঠেছে রনবীর কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর, কপিল শর্মার মতন বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে। তারাও জেরার মুখে পড়েছেন।
জানা
গিয়েছে মহাদেব বেটিং অ্যাপের প্রোমোটার
সৌরভ চন্দ্র কর এবং রবি উপ্পল সংযুক্ত আরব আমির শাহিতে বসবাস
করেন। সেখান থেকেই তারা এই বেআইনি
ব্যবসা পরিচালনা করত। এর আগে সৌরভ ছত্রিশগড়ের ভিলাইয়ে জুস
বিক্রি করতে বলে জানা যায়। এই ব্যাটিং অ্যাপের মাধ্যমে পাঁচ
হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই
অ্যাপের মালিকের বিলাসবহুল বিয়ে থেকে শুরু করে বলিউড তারকাদের যোগ চোখ কপালে
তুলেছিল তদন্তকারীদের। এরই মাঝে শুক্রবার ইডির তরফে দাবী করা
হয় ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছিল
মহাদেব বেটিং অ্যাপের প্রোমোটাররা।
জানা
গিয়েছে ওই মামলায় সম্প্রতি অসীম দাস এবং ভীম সিং যাদব নামে
দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেষ তিন চার মাসে চতুর্থ জনকে গ্রেফতার করল এই মামলায়। এখনো অবধি ৪৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নির্বাচনের আগে
ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় চাপে পড়েছে কংগ্রেস এবং বিরোধী
শিবির। তবে যাকে ঘিরে অভিযোগ তিনি অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার
করেছেন। ভুপেশ বাঘেল বলেন, “এখন কাউকে অভিযুক্ত করা খুব সহজ হয়ে গেছে। কেউ কারও নাম বলে দিলেই সেটা সত্যি হয়ে যায় না”।
একের পর এক বিরোধী নেতারা অভিযুক্ত হচ্ছেন দুর্নীতির দায়ে। কথাও মদ নিয়ে কেলেঙ্কারি।
কোন রাজ্যে আবার মানুষের খাবার নিয়ে হের ফের। কোথাও আবার কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার
অভিযোগ। শেষতম সংযোজন বেটিং অ্যাপ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে
নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, ” ক্ষমতায় থাকার জন্য দুর্নীতি করেছেন বাঘেল। তাঁকে সহযগিতা করছে কংগ্রেস। বিরোধীরা দুর্নীতি করবে আর সরকার ব্যবস্থা নিলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলা হবে এটা হতে পারে না”।