নিউজ ডেস্ক: শহরে হেমন্তের পরশ পড়তে শুরু করছে ধীরে ধীরে। বেলা বাড়লে অল্প গরম অনুভূত হলেও বিকেল গড়াতে না করাতেই ঠান্ডা হাওয়া গা ছুঁয়ে যাচ্ছে। মরশুম বদলের এই সময়টায় তাই বাড়ছে অসুখ-বিসুখ। জ্বর-সর্দি-কাশি, গা-হাত-পা ব্যথা এসব উপসর্গ এখন প্রতিটা ঘরে ঘরে। চিকিৎসকরা ও তাই এই সময়টা সাবধানে থাকতে বলছেন সকলকে। তবে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে দূষণ। শীতের শুষ্কতা আর কিছুদিন পরেই দীপাবলির বাজি ফাটানোর দূষণ সব মিলেই নাভিশ্বাস উঠবে কলকাতাবাসীর।চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দূষণের কারণে চোখে অস্বস্তি, চোখ থেকে জল পড়া, ড্রাই আইজ, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া ও চোখে চুলকানির মতো নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষ। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেনের মতো গ্যাসের প্রকোপ বাড়লে চোখের প্রদাহ বাড়ে। দূষণের হাত থেকে চোখকে বাঁচাতে কী ভাবে সতর্ক হবেন?
১. ঘন ঘন চোখে আঙুল দিয়ে ঘষাঘষি করবেন না। এতে চোখ আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ ব্যবহার করুন।
রাস্তায় বেরোলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন, চোখ সুরক্ষিত থাকবে।
২. শরীরে জলের ঘাটতি হলেও চোখের সমস্যা বেড়ে যায়, তাই পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। ফলও খেতে হবে বেশি করে।
৩. কালীপুজোর আগে এবং পরে বাতাসে দূষণের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। ওই সময় যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার চেষ্টা করুন। বাইরে বেরোলেও সানগ্লাস ও মাস্ক পরে তবেই বেরোন।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও রকম আইড্রপ ব্যবহার করবেন না। চোখ লাল হলে, ফুলে গেলে, চুলকানি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চোখে কোনও রকম সংক্রমণ হলে ফেলে রাখবেন না।