নিউজ ডেস্ক: ধরা দিয়েও দিচ্ছে না ধরা। কথা হচ্ছে অপেক্ষারত শীতের। সকাল, বিকেল ও রাতের দিকে হালকা শীতের আমেজ ধরা দিলেও এখনই আসছে না কনকনে শীত। গুটি গুটি পায়ে আসব আসব
আভাস মিললেও পুরোপুরি শীতের আমেজ পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও
কয়েকটা দিন জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
দীপাবলি থেকে উৎসবের মাসে হালকা শীতের পরশের
অনুভুতিই মিলবে উত্তরবঙ্গ সহ রাজ্যবাসীর। তবে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অংশে
হালকা বৃষ্টিপাত বা উঁচু জায়গায় তুষার পাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে গ্যাংটক আবহাওয়া দপ্তর। আকাশ মেঘমুক্ত থাকা মানেই
ট্রানজিশন ফেজ। মেঘমুক্ত আকাশ থাকার দরুন দিনের বেলা ভালো গরম
অনুভূত হচ্ছে। খানিক ভ্যাপসা গরমে আর বিকেল হতেই একেবারেই ভিন্ন রূপ আবহাওয়ার।
হালকা ফুল স্লিভস কিংবা শীত বস্ত্র গায়ে জড়ালেও মন্দ নয়।
গ্যাংটক হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী
ডিসেম্বরে আগে এ রাজ্যে পাকাপাকি ঢুকছে না। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দিক বদল করায় শীত ঢুকবে
আরও কয়েকটাদিন পর। চলতি উৎসবের মাসে মেঘমুক্ত আকাশ থাকার দরুন তীব্র গরম অনুভূত
হচ্ছে। আবার শীতের আগমনের প্রাগ মুহূর্তের এই সময়টা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ভাষায়
ট্রানজিশন পিরিয়ড-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফলে সূর্য অস্ত যেতে সন্ধ্যায় গড়িয়ে রাতের
দিকে তাপমাত্রা অনেকটা নিচে নেমে আসছে। চলতি সপ্তাহে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের
বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রার গড় সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তা
নেমে যাচ্ছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে শীতলতার অনুভূতি মিলছে রাতের অংশে। দীপাবলি
থেকে ছট পুজো পর্যন্ত উৎসবের মরশুমে আবহাওয়ার এই রকমফের বজায় থাকবে। আবহাওয়াবিদ গোপীনাথ
রাহা জানান, “পাহাড়ি অংশে সিকিম
এবং উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং কালিম্পং এ বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তার পাশাপাশি সিকিমের উপরভাগে এবং পাহাড়ের উঁচু অংশে তুষারপাতেরও সম্ভাবনাও
থাকছে। তিনি জানান মূলত ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করলে দেখা যাবে মেঘমুক্ত আকাশ থাকার
দরুন সূর্যের কিরণ সরাসরি আমাদের ভূপৃষ্ঠের ওপর পড়ছে সে কারণেই দিনের বেলা
অত্যধিক গরম অনুভূত হচ্ছে। আবার আকাশ মেঘমুক্ত হওয়ায় ভূপৃষ্ঠ যে তাপ বিকিরণ করছে
রাতের বেলা তা এই অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠ থেকে বেরিয়ে যেতে পারছে।তার ফলে রাতের অংশে
তাপমাত্রা একধাপে অনেকটা নেমে যাচ্ছে। পাশাপাশি ট্রানজিশন পিরিয়ড চলাকালীন
গ্রীষ্ম থেকে শীতের পরিবর্তনের মাসের সময়তে এই রকম ফের লক্ষ্য করা যায়। তবে
পাকাপাকি ভাবে শীত পড়তে ক্যালেন্ডার পাতা উল্টে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
রাজ্যবাসীকে”।