নিউজ ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না। প্রথম দফার ভোট শুরু হতেই মাও অধ্যুষিত সুকমায় বিস্ফোরণে জখম কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। উল্লেখ্য, প্রতি বারের এবারও ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই(মাওবাদী)। তাই এই হামলার পেছনে মাও যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মঙ্গলবার প্রথম দফায় ২০টি আসনে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। আর প্রতিটি কেন্দ্রই রয়েছে মাও অধ্যুষিত এলাকায়। সেকারণে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এই কেন্দ্রগুলিকে। ছত্তিশগড়ে দ্বিতীয় দফায় ৭০টি আসনের ভোট রয়েছে ১৭ নভেম্বর। ঝুঁকি এড়াতে মাওবাদী এলাকা সহ ভোটকর্মী ও ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৬০ হাজার পুলিশ ও আধাসেনা। কিন্তু তাতেও রক্ষা হল না। এদিকে, মাও আতঙ্কে ভোট শুরুর দু’ঘণ্টায় ছত্তিশগড়ে কোথাও ভোট পড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। কোথাও আবার ৬ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছে।
মঙ্গলবার ভোটদান চলছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজোরামেও। একদফায় ৪০টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হচ্ছে এই পাহাড়ি রাজ্যটিতে। পড়শি রাজ্য মণিপুরের হিংসার আঁচ থেকে বাঁচতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে মিজোরামে। এদিন ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই সিল করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত। নির্বাচন চলাকালীন অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিকে, সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েও ভোট দিতে পারেননি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। আইজলের বুথ থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ভোট দিতে পারেননি তিনি। তবে পরে এসে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে, এবারের নির্বাচনেও তাঁর দল এমএনএফ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতবে বলে নিশ্চিত মুখ্যমন্ত্রী।