নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী তো মন্ত্রীই! স্কুলের
শিক্ষিক রাঁধুনিরাও কম যান না। যার যেমন ক্ষমতা সেই বলে চুরি করতে ওস্তাদ। বছর কয়েক
আগে কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উঠেছিল। করোনা কালের ছায়া এবার মালদা জেলায়
নতুন করে আবির্ভুত হল। অঙ্গনওয়াড়ির চাল চুরি করার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষিকা ও রাঁধুনির
বিরুদ্ধে। চাঁচল ১ নং ব্লকের বাকি বাকিপুর প্রথমিক স্কুলের ঘটনা।
অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ২ বস্তা
চাল চাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষিকা এবং রাধুনী। দুজনের
বিরুদ্ধে এর আগেও পড়ুয়াদের খাদ্য সামগ্রী চুরি করার অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দুজনকেই স্কুল থেকে ব্যাগে করে চাল বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় সন্দেহের
বশে হাতেনাতে হাতেনাতে ধরে ফেলেন অভিভাবকরা। তারপরেই ওই কেন্দ্রে
দুই ঘন্টা ধরে তালাবন্দী ছিলেন শিক্ষিকা এবং রাধুনী। বাইরে
বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকদের। অভিভাবকদের আরও অভিযোগ
দীর্ঘদিন ধরে এই কেন্দ্রের নিয়ম মেনে খাবার দেওয়া হয় না। চাল এবং সবজি চুরি হয়ে
যায়। কেন্দ্রের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। যদিও অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি শিক্ষিকার।
অভিভাবক রফিকুল আলম বলেন, “স্কুলে মিড ডে মিলে উন্নত মানের কিছু
এলেই এই দুজন তা হাপিস করে দিতে চান। এর আগেও তারা চুরি করেছে। ওদের অভ্যাসে বদল হচ্ছে
না। এবার তারা এই জিনিস বাজারে বিক্রি করছে না সেটা বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে তা তদন্ত করে
প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। নিষ্পাপ শিশুদের খাবার যারা কেড়ে নিচ্ছে তাঁদের শাস্তি হওয়া
উচিত। স্কুলের বাচ্চাদের খাবার উনি কেড়ে নেবেন। এখানকার বাচ্চারা আধপেটা খাবে আর উনি
সেই জিনিস বাড়ি নিয়ে যাবেন এটা চলতে পারে না”।