নিউজ ডেস্ক: গৃহবধূ জয়শ্রী সাহা দীর্ঘদিন ধরে
অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতা থাকাকালীন তিনি একদিন মায়ের স্বপ্নাদেশ পান এবং তার কাছে
কালো মেয়ে অর্থাৎ মেয়ে রূপে আসে স্বয়ং মা। স্বয়ং দেবী নাকি গৃহবধূ জয়শ্রী সাহাকে বলেন ” আমি তোর কাছে আজ থেকে
মেয়ে হয়ে থাকব”, তারপর মা কালী অর্থাৎ
ভবতারিণী গৃহবধুর পাশে শুয়ে পড়েন। তারপর থেকেই মা ভবতারিণীর আরাধনা শুরু হয় দাবি সাহা পরিবারের। বাড়ির নাম দেয়া হয় ভবতারিণী ভবন।
জয়শ্রী দেবী বলেন মাকে তারা মেয়ে রুপে আরাধনা
করেন। মাকে তারা ভবতারিণী বলেই ডাকেন। প্রায় ৩৫ বছর ধরে মা ভবতারিণীর আরাধনা করা
হচ্ছে তাদের পরিবারে। বৈশাখ মাসে অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়। আগের দিন বিসর্জন হয়। এবং পরের দিন আবার
নতুন রূপে আসেন না। বরণ করে তাকে পুনরায় মন্দিরে বসানো হয়। দিনের বেলা পুজো হয়
বারোটা থেকে ৫ টা পর্যন্ত। দেবীর আরাধনা শুধু কালীপুজোর দিনই হয় না। সারা বছর
ধরেই মা ভবতারিণীর আরাধনা করা হয় এ ভবতারিণী ভবনে।
কালীপুজোর দিন বিশেষ নিয়ম-নীতি মেনে মায়ের
পূজো করা হয়। খিচুড়ি পোলাও ফ্রাইড রাইস পাঁচ রকম পিঠে পাঁচ রকম তরকারি, পাঁচ রকম ভাজা লুচি ইত্যাদি ভোগের ব্যবস্থা করা হয় কালীপুজোর দিন।
বর্তমানে দেবী ভবতারিনীর আরাধনা করেন দেবব্রত রায়। দেবব্রত রায়ের মতে তার পূজোতে
যখন যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে স্বয়ং তাকে স্বপ্না দেশ দেন। ভুল ত্রুটিগুলি
সংশোধন করার জন্য।
জয়শ্রী দেবী বলেন, ভবতারিণী দেবী তাদের পরিবারের সঙ্গে খুনসুটিতে জড়িয়ে থাকেন। ভবতারিণী
দেবীর শুধু পূজা বা আচার-আচরণের পালন করা হয় না। বরং ভবতারি দেবী সাজতে খুব পছন্দ
করেন। লাল রং দেবের ভীষণ প্রিয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ব্রাশ করেন ভবতারিণী
দেবী। তারপর তিনি চা বিস্কিট খান। স্নানের পর তিনি শাড়ি পড়েন সিঁদুর পড়েন এমনকি
লিপস্টিকও পড়ে। গৃহবধূ জয়শ্রী দেবী আরও বলেন, “ভবতারিণী
দেবী একটি কাপড়ে বেশি দিন থাকেন না। প্রতি সপ্তাহে তার পোশাক পরিবর্তন করতে হয়।
এবং সঙ্গে পছন্দের ব্যাগ ও তাকে দিতে হয় সঙ্গে জুতো”।
ভবতারিনী ভবনে আছেন জয়শ্রী দেবী তার স্বামী ও তার একটি মাত্র ছেলে ও তার গৃহবধূ ও
তার নাতিপুতি সহ স্বয়ং দেবী ভবতারিনী অর্থাৎ তার কালো মেয়ে।