নিউজ ডেস্ক: “উপাচার্যর মেয়াদ শেষ হলে
শান্তিনিকেতন গোবরজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করব।” তৃণমূলের ধরনা মঞ্চের কাছে এসে
বিস্ফোরক বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১২
দিন ধরে চলছে তৃণমূলের ধরনা বিক্ষোভ। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সেই মঞ্চের সামনে গিয়ে
স্থায়ী রবীন্দ্র মূর্তিতে ফুল দেন বিজেপি নেতা। উপাচার্যের
মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে না, কথাও নিশ্চিত করেন বিজেপি নেতা। পালটা
এই বিষয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের।
১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ‘ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই সংক্রান্ত বসানো ফলকে
আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম
থাকলেও ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১২ দিন ধরে
চলছে তৃণমূলের ধরনা বিক্ষোভ। শান্তিনিকেতন রাস্তার উপর তৃণমূলের মঞ্চের
সামনে আসেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। মঞ্চের সামনে স্থায়ী একটি রবীন্দ্র
মূর্তি রয়েছে তাতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এদিন, মুখ্যমন্ত্রীকে ৫ পৃষ্ঠার ব্যঙ্গাত্মক চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।
এই সংক্রান্ত প্রশ্নে অনুপম হাজরা বলেন, “এই উপাচার্য
বিশ্বভারতী পক্ষে ক্ষতিকারক। উনি নিজে বহিরাগত। শান্তিনিকেতন সম্পর্কে ওনার কোন
ধারনা নেই। উনি পৌষমেলা, বসন্তোৎসব
বন্ধ করে দিয়েছেন। ওনার মেয়াদ বাড়বে না নিশ্চিত থাকুন।”
অনুপম হাজরা আরও বলেন,
“এই উপাচার্যের যেদিন মেয়াদ শেষ হবে এই বোলপুর-শান্তিনিকেতন
গোবরজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করব। প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে ফলক বসিয়েছেন৷ উনি ভণ্ড
বিজেপি সাজেন। বিজেপির পক্ষে ক্ষতিকর। রবীন্দ্রনাথ সবার।
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক।” পালটা এই বিষয়ে পালটা কটাক্ষ করে তৃণমূল।
তৃণমূল নেতা জামসেদ আলি খান বলেন, “এতদিন বিজেপির দেখা
ছিল না। যেই উপাচার্যের মেয়াদ শেষ আসছে, শান্তিনিকেতনের পবিত্র মাটি থেকে উপাচার্য চলে যাবেন তখন বিজেপি এসে নাটক
করছে।”