নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করা হোক। ঘুষের বিনিময় প্রশ্ন বিতর্কে রিপোর্টে এমনই সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। শুধু তাই নয়, খসড়া রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি তদন্তের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে কমিটির তরফে। কমিটিতে সংখ্যালঘু হওয়ায় এই খসড়া পাশ হওয়া আটকাতে পারবেন না কমিটির দুই কংগ্রেস সদস্য নরেশ উত্তম কুমার রেড্ডি এবং ভি ভাইথিলিঙ্গম। সূত্রের খবর, খসড়ার বিরুদ্ধে তাই স্পিকারকে প্রতিবাদী চিঠি লিখতে চলেছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার লোকসভার অ্যানেক্স ভবনে বসবে এথিক্স কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক। তার আগে ৫০০ পাতার একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে এথিক্স কমিটি। সেখানে বলা হয়েছে, নিজের সাংসদ পদের অপব্যবহার করেছেন মহুয়া। তাঁর কাজ ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক, অনৈতিক এবং অপরাধমূলক’। তাতে তাঁর গুরুতর শাস্তি হওয়া দরকার। দর্শন হীরানন্দানির সঙ্গে মহুয়ার আর্থিক লেনদেনের পৃথক তদন্ত করা দরকার বলেও সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।
কমিটির রিপোর্ট নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, “সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই সংসদে শ্বাসরোধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। রাহুল গান্ধীরও সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছিল।” এটা ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি’ বলেও মন্তব্য করেছেন অধীর।
দর্শন হীরানন্দানিকে ‘বন্ধু’ হিসেবে লোকসভার সচিবালয়ের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার কথা আগেই স্বীকার করে নিয়েছেন মহুয়া। তাঁর বক্তব্য, ১০ জনকে নাকি তা পাঠানো যায়। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মত, ‘এভাবে কাউকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিতে পারে না’।
এথিক্স কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন খোদ ‘অভিযুক্ত’, মহুয়া। এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “আগামিকাল কমিটিতে রিপোর্ট পেশের আগেই সেটি প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। ঠিক যেমন লোকপাল সিদ্ধান্তের কথা অন্য কেউ ঘোষণা করেন।” ফের প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মহুয়া লেখেন, ‘মোদী আদানি ভাই ভাই, সব ইনস্টিটিউশন বাই-বাই’।
Tags: NULL