নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার বৈষ্ণব ধর্মের সাথে শাক্ত পুজোর প্রচলন আছে।
সরকারি নথি অনুযায়ী শান্তিপুরে কালীপুজোর সংখ্যা একশোর বেশি, যার মধ্যে প্রায় কুড়িটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহু প্রাচীন।
আগমেশ্বরী, মহিষখাগী, চড়ার বামা কালী,
গুল বাজ, বোম্বেট কালী যার মধ্যে অন্যতম। আর
এইসব বিরাটাকার প্রতিমার ধাতব হাতের খাঁড়া, মুণ্ডমালা,
শিবের ডুগডুগি, চাঁদ মালা এবং পূজার বিভিন্ন
বাসন-কোসন পালিশ এবং রং করার জন্য সকলকে আসতে হয় শান্তিপুর কাঁসারি পাড়ায়।
কাঁসা-পিতলের ব্যবহার ধীরে
ধীরে কমে যাওয়ার কারণে ওই পাড়ায় এখন সকলেই প্রায় অন্যান্য পেশায় নিযুক্ত
হয়েছেন। তবে কালীপূজা উপলক্ষে ভরসা কাশীনাথ কংস বণিক। তার পালিশ ঘরে কাজ হয়ে
যাওয়ার পর বাবাকে সহযোগিতা করতে চোখ এবং
অন্যান্য আঁকার উদ্দেশ্যে মেয়ে বর্ণালী প্রামাণিক কংস বণিক আজও নিয়ম করে
কালীপুজোর সপ্তাহখানেক আগে আসেন বাপের বাড়িতে।
ছোটবেলা থেকেই বাবার কাজে
সহযোগিতা করে আসার অভ্যাসে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও এই কদিন বাবার কাজে সহযোগিতা
করতে থাকেন বাপের বাড়িতে। তবে জাগ্রত কালীমুর্তির ব্যবহার্য জিনিষের কাজ করতে গেলে শুদ্ধ বস্ত্রে,
শুদ্ধ মনে , বিভিন্ন মন্ত্র উচ্চারণে মায়ের
অনুমতি নিয়ে তবেই তাঁর হাতের মুন্ডু মালার পালিশ রং চোখ আঁকা করতে হয়। তাই সে
ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলান, কাশীনাথ কংস বণিক। তিনি বলেন, “এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই পেশায় আসতে আগ্রহী
নয়, তার ওপর দীর্ঘদিন কাজ করলে শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা
হয়। আগে গোটা পাড়ায় প্রচুর পালিশ ঘর, কাঁসা পিতলের ধাতব
মূর্তি তৈরির কারখানা থাকলেও বর্তমানে সকলেই কিনে ব্যবসা করেন”।