নিউজ ডেস্ক: একদিন
আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছিল।
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় ফতেপুর হাইস্কুল ফুটবল মাঠে উপস্থিত হয়ে এ নিয়ে
পাল্টা তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কবে কবে ইডি ডেকেছে তার খতিয়ান দেন
তিনি। পাশাপাশি বলেন, বৃহস্পতিবার ফলতার এই মাঠে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি থাকলেও তা
বাতিল করতে হয়েছিল এনফোর্সমেন্টের তলবের জন্যই। তিনি বলেন, “আমার গতকাল (বৃহস্পতিবার) এখানে
ফতেপুরের এই মাঠে কর্মসূচি করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইডি দফতরে সশরীরে
উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ইচ্ছা না থাকলেও কর্মসূচি বাতিল করতে হয়। আমাকে নির্দিষ্ট
কিছু তথ্য নিয়ে পৌঁছতে বলা হয়েছিল। অন্য কারও হাত দিয়ে পাঠালেও হত। কিন্তু
স্পেসিফিক্যালি বলা ছিল আমাকে সশরীরে পৌঁছতে হবে।”
এই সভা থেকেই ইডির ডাকাডাকির সমালোচনা করেছেন। তিনি
বলেন, “কয়লা
কেলেঙ্কারিতে কিছু করতে পারছেন না বলেই এসএসসি, প্রাইমারিতে ডাকাডাকি চলছে।” এর আগেও প্রতিহিংসার কথা বলেছেন। এখনও
বলছেন বিরোধিতা করার জন্যই তাঁকে ডাকা হচ্ছে। তিনি বলেন, “ আমি ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যে কথা
বলেছি, আমি আমার অবস্থানে অনড়। আমি সকাল বিকেল অবস্থান পাল্টাই না, আমার কথা
পাল্টাই না। তিন বছর হয়ে গেছে। ৩৬ মাস পরেও আমি একই কথা বলছি। তখন কয়লা কেলেঙ্কারি
নিয়ে আপনারা বড় বড় ভাষণ দিতেন আর বলতেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত। সেই কয়লা
কেলেঙ্কারি বা তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট আমাকে প্রোটেকশন দিয়েছে। কয়লা কাণ্ডে আপনি
যেহেতু কিছু করতে পারছেন না, সেহেতু এসএসসি বা প্রাইমারি রিক্রুটমেন্টে অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকো, তার স্ত্রীকে ডাকো, তার মাকে ডাকো, তার বাবাকে ডাকো। এবং
কী করে ধমকে চমকে তাকে বাড়িতে ঢুকিয়ে রাখা যায় বা তাকে বশ্যতা স্বীকার করানো যায়।
আমি অন্য ধাতুতে তৈরি। আমার গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরোবে আর তৃণমূল কংগ্রেস
জিন্দাবাদ বেরোবে।”
কয়লা পাচার মামলায় দিল্লিতে তলব নিয়ে সুপ্রিম
কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকরা। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে জানায় কলকাতার
দফতরেই তলব করতে হবে। এদিন আবারও বলেন, কর্মসূচি থাকলে সেদিন তলব করা হচ্ছে। ১৩
সেপ্টেম্বর, ৩ অক্টোবর, ৯ অক্টোবরের পর ৯ নভেম্বরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বলেই
তাঁর দাবি। যদিও তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির মধ্যেও একবার হাজিরার জন্য আসতে হয়েছিল
অভিষেককে।
এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিযোগ করেন
প্রতিহিংসার কারণেই এমন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে আমাকে হারানোর অনেক চেষ্টা হয়েছিল। তাবড়
তাবড় নেতারা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে বসেছিল। প্রধানমন্ত্রী এসে সভা
করেছেন। আর বিজেপি নেতারা বলেছিলেন ২০১৯ এর ফল ঘোষণার পর অভিষেকের আমতলার
কার্যালয়ে তালা পড়ে যাবে। কিন্তু এখন বিজেপির কার্যালয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। ওদের
গেস্ট হাউস বা হোটেলে মিটিং করতে হয়।” এদিন
লোকসভা ভোটের কার্যত দামাম বাজিয়ে দেন তিনি, এর পাশাপাশি ভোটের ব্যবধান বাড়ানোর
কথা বলেন। অভিষেক বলেন, “২০১৪ সালে
আমি ৭১ হাজার ভোটে জিতেছিলাম। ২০১৯ সালে বিজেপির নেতারা সভা করলেও ব্যবধান বাড়িয়ে
৩ লক্ষ ২১ হাজার ভোটে আপনারা আমাকে জিতিয়েছিলেন।” অভিষেক ২০২৪ সালের ভোটে চার লক্ষের বেশি ব্যবধানে
জেতানোর ডাক দেন।