নিউজ ডেস্ক: ভারতে নতুন করে সন্ত্রাসের জাল বিস্তার করছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। এই তথ্য আগেই দিয়েছে দেশের গোয়েন্দারা। এবার জম্মু-কাশ্মীরে পাওয়া গেল সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিশাল র্যাকেটের খোঁজ। সেইসঙ্গে চক্রের সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীর পুলিশের এক পুলিশকর্তা ও শ্রীনগরের এক ব্যবসায়ীরও খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী। ইতিমধ্যেই পুলিশের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে খবর।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উপত্যকার ২২টি অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তদন্ত সংস্থা, স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(SIA)। সেই অভিযানে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া এই চক্রের হদিস পান তদন্তকারীরা। এসআইএ-এর তরফে জানানো হয়েছে, উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পন্থায় ৮৫ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল এবং তা বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে তছরুপ করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, এই টাকা জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দেওয়ার জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে। আধিকারিকদের দাবি, সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই চক্র সবথেকে বড় সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতের মামলা হতে পারে।
তবে শুধু বিপুল পরিমাণ টাকাই নয়, সন্ত্রাসীদের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েও সাহায্য করা হয়েছে এই চক্রের সাহায্যে। কারণ, তিনদিনের তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু নথি, তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, এই চক্রের সঙ্গে দুবাই যোগ থাকতে পারে। তবে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, উদ্ধার হওয়া সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার পরই এই বিষয়ে বিস্তারে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক মাস ধরে অশান্ত হয়ে উঠেছে উপত্যকা। একের পর এক হামলা যেমন হচ্ছে, তেমনই প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে খতম হচ্ছে জঙ্গি। এই আবহে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে অগাস্ট মাসে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই উপত্যকায় তদন্ত নামে এসআইএ।