নিউজ ডেস্ক: স্বপ্নাদেশে পাওয়া প্রায় ১০০
বছরের বিশালক্ষী মা। পরবর্তীকালে তিনি দুর্গা
হিসেবে পুজিত হলেন। বর্তমানে তিনিই কালীমাতা
হিসাবে পুজিত হন। সেই বিশালাক্ষী মাতার পুজো শুরু হল সুন্দরবন
এলাকায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা জিপ্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের তটের বাজারে কালীমাতা এবং মন্দির একদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে
গেল পুজো এবং আলোকসজ্জা।
কথিত
আছে প্রায় ১০০ বছর আগে ব্রিটিশ জমানায় তৎকালীন নায়েব
সুরেন বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশে পাওয়া শিবলিঙ্গ দিয়ে শিব ও বিশালাক্ষী দুর্গাপুজো শুরু
করেছিলেন। এখন সেখানেই মন্দির প্রতিস্থাপন হওয়ার পর কালি রূপে পুজিত হচ্ছে মা। রবিবার কালী মায়ের মন্দির রং করা লাইট লাগানো সহ পুজো পার্বনের কাজ শুরু
হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান প্রায় ১০০ বছর আগে এলাকার
নায়েব সুরেন বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ
পান জঙ্গলের মধ্যে যে আতা গাছ আছে সেখানে শিবলিঙ্গ রয়েছে। পরের দিন সকালে গাছপালা পরিষ্কার করছিল তখন মাটির উঁচু ঢিপি দেখতে
পান। আর সেই ঢিপি থেকে বেরিয়ে আসে শিবলিঙ্গ। শিবের সঙ্গে শিব ঘরণী বিশালক্ষী মায়ের পূজা শুরু করেন তিনি। তখন মন্দির ছিল না। বিভিন্ন এলাকার মানুষের দানের
উপর নির্ভর করে ৫৬ তম বছর আগে তৈরি হয় মন্দির।
সেই সময় যেহেতু নায়েব কালীপুজার নির্দিষ্ট দিনের আগে পুজো শুরু করেছিল, সেইহেতু এখন একদিন আগে থেকে পুজো শুরু হয়। কথিত আছে
এই মা এতই জাগ্রত যে বহু দুর দুরান্ত
থেকে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে এখানে পুজো করতে আসে। তাছাড়া বহু মানুষ সারা বছরই মায়ের কাছে বিভিন্ন মানসিক করে।