নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর লেখা গান পেতে পারে
গ্র্যামি পুরষ্কার। সেই জল্পনাই এখন তুঙ্গে। গ্র্যামি এওয়ার্ড ২০২৪ এর জন্য মনোনীত
হল “এবান্ডন্স ইন মিলেটস”গানটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিলেটের উপকারিতা বিশ্বদরবারে
তুলে ধরার জন্য ‘অ্যাবানডেন্স ইন মিলেট্স’ গানটি লিখেছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত
ফাল্গুনী শাহ এবং তাঁর স্বামী গৌরব শাহ সেই গানটি গেয়েছেন। ১৬ জুন মুক্তি পেয়েছে
গানটি। এবার ২০২৪ সালের গ্র্যামি পুরস্কারের সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স
ক্যাটেগরিতে মনোনীত হয়েছে এই গানটি। এটিকে ‘দীপাবলির উপহার’ বলে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টায় ২০২৩ সাল মিলেট বর্ষ ঘোষিত হয়েছে। বছরের
গোড়া থেকেই মিলেটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপকারিতা প্রচারের উপর জোর দিয়েছিলেন
প্রধানমন্ত্রী। গ্র্যামিজয়ী
ফাল্গুনী শাহের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মিলেটের উপর গান লিখেছেন তিনি। এবার সেই গানটি
গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হল যা গোটা দেশের কাছে গর্বের বিষয়। এই গানটি
গ্র্যামি পাওয়ার জোরালো দাবিদার মনে করছেন তিনবারের গ্র্যামি জয়ী সুরকার রিকি কেজ।
মিলেটের উপকারিতা
নিয়ে বহু দিন ধরেই সরব নরেন্দ্র মোদী। ভারত মিলেট বর্ষের প্রচার শুরু করেছে, বর্তমানে গোটা বিশ্বে সেটা উদযাপিত করছে।
চলতি বছরের মার্চে দিল্লিতে আয়োজিত হয় গ্লোবাল মিলেট কনফারেন্স। জি ২০ র বৈঠকেও মিলেটের নানা পদের
আয়োজন করা হয়েছিল অতিথিদের জন্য। সারা দেশের নানান প্রান্তে মিলেট ক্যাফে খোলা
হয়েছে। এক সময় জব, বাজরা, রাগী এসবের
চাষ একেবারে কমে গিয়েছিল। ভারতীয়দের খাদ্য তালিকা থেকে উধাও হয়ে পশু খাদ্যের
তালিকায় উঠেছিল মিলেট। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এর উপকারিতা বুঝে মন কি বাত অনুষ্ঠান
থেকে শুরু করে বিভিন্ন মঞ্চে প্রচার শুরু করেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে শুধু ভারত নত
বিদেশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মিলেটের পদ রান্না করা শুরু হয়েছে। এবং স্বাস্থ্য
উপকারিতার জন্য বিক্রি বাট্টাও হচ্ছে ভালই। চলতি বছরের জুন মাস থেকে মার্কিন যুক্ত
রাষ্ট্রের “সার” রেস্তোরাঁয় মিলেটের
নানান পদ যুক্ত হয়েছে রেস্তোরাঁর মেনুতে।
যেখানে মার্কিন মুলুকে মোদী ডাকে সারা দিয়ে মিলেটের
জয়গান গাওয়া হচ্ছে সেখানে তার লেখা এবং শাহ দম্পতির কন্ঠে গাওয়া গানটি গ্র্যামি
পুরষ্কার পেলে মমতাকে আরেকটি দিক থেকে ছাপিয়ে যাবেন মোদী । দুজনেই ভাল কলমচি এমনটা অনেকেই দাবি করেন। মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে নিজের রাজ্য ছাড়া জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক স্তরে শিল্প
কলার ক্ষেত্রে কোন বড় পুরষ্কার নেই। মোদীর লেখা গান গ্র্যামি পেলে সেটাকে ২০২৪ এর নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে বাড়তি এডভান্টেজ হতে পারে।
এবান্ডেন্স ইন মিলেট গ্র্যামি পাক বা না পাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কোন গানই
এখন অবধি প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই জায়গা দখল করতে পারেনি। মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় ১১০ টির বেশি বই লিখে ফেলেছেন। মোদী একটি গান লিখেই বাজিমাত করে
সেই দিক থেকে কিন্তু এগিয়েই রইলেন।