নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর লোকসভা ভোট। তার আগে জেলাস্তরে সংগঠনে রদবদল করল তৃণমূল
কংগ্রেস। সেই তালিকায় কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের নাম নেই। গরু পাচার মামলায় গতবছর
অগাস্ট মাসে বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তখন তিনি তৃণমূল
কংগ্রেসের বীরভূমের জেলা ছিলেন। গ্রেফতারের পরও দল ওই পদ থেকে সরায়নি কেষ্টকে।
আসানসোল থেকে অনুব্রতকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া
হয়েছে। সিবিআই-এর পর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। তবু দলে তাঁর আসন অক্ষত। অনুব্রতকে
জেলা সভাপতি রেখে বীরভূম দেখার দায়িত্ব নিজে নিয়েছিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য কোর কমিটির উপর দায়িত্বও দেওয়া হয়। সোমবার যে তালিকা
তৃণমূল কংগ্রেস প্রকাশ করেছে সেখানে বীরভম জেলার চেয়ারপার্সন করা হয়েছে আশিস
বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বীরভূম জেলা সভাপতির জায়গায় কারও নাম নেই সেখানে কোর কমিটির
উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ জেলা সভাপতির কাজ সামলাবে কোর কমিটি।
অন্যদিকে নদিয়ার কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি
পদে নাম রয়েছে মহুয়া মৈত্রের। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে কার্যত
চাপে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এথিক্স কমিটি তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে।
এমতাবস্থায় দল তাঁর পাশে দাঁড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। দলের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে
চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে।
মুর্শিদাবাদ জেলাতেও রদবদল হয়েছে। এখানে বহরমপুর
সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হয়েছেন অপূর্ব (ডেভিড) সরকার। আগে ছিলেন আবু তাহের খান। চেয়ারপার্সন
রবিউল আলম চৌধুরি। এই জেলা থেকে শাওনি সিংহ রায় দলের রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন। শাওনির
সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের গন্ডগোল প্রায়ই সামনে এসেছে। সম্ভবত সেই কারণেই জেলার
দায়িত্ব থেকে সরিয়ে শাওনিকে রাজ্য সম্পাদক করা হল। আবার জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা
থেকে সরানো হয়েছে কানাইচন্দ্র মণ্ডলকে। সেখানে চেয়ারম্যান পদে পেয়েছেন রাজ্যের
প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। তবে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রয়েছেন খলিলুর
রহমানই।
বাঁকুড়া, দার্জিলিং,
পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর অনেক জায়গাতেই তৃণমূল সাংগঠনিক রদবদল করল।