নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল বিশ্বকাপ ২০২৩- এর প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফের মাঠে নামছে ভারত। বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, তাই অধিক আলোচিত এই বিশেষ ম্যাচ। এর কারণ, গত বিশ্বকাপে এই সেমিফাইনালেই শেষ মুহূর্তে কিউয়িদের কাছে হারতে হয়েছিল কোহলিদের। শেষ ওভারের দিকে ধোনির দুর্ভাগ্যজনক রান আউট সেদিন কেড়ে নিয়েছিল কোটি কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন।
সেই দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতা কাটিয়ে উঠে ৪ বছর পর মধুর প্রতিশোধের অপেক্ষায় ভারতীয় শিবির। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগামীকাল, বুধবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামছে দুই দল। যদিও গ্রুপ পর্বে টানা ৯ ম্যাচ জিতে পাল্লায় কিউয়িদের থেকে এগিয়ে রয়েছে রোহিত ব্রিগেড। তবে ভারতের জয় যে এতটাও সোজা হবে না সেই কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সের পাশাপাশি বোলিং বিভাগেও অসাধারণ টিম ওয়ার্ক করেছে ভারত। মাঝ ওভারে বিপক্ষের রান দারুণভাবে আটকে দিয়েছেন কুলদীপ – জাদেজা। তবে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন যে ভারতীয় স্পিনারদের পথের কাঁটা হতে পারেন তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। অন্যদিকে, ভারতকে ভাবাচ্ছে রচিন রবীন্দ্রের আগ্রাসী পারফরম্যান্সও।
সেমিফাইনালের চূড়ান্ত দল জানা না গেলেও উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে নতুন কোনও এক্সপেরিমেন্ট করা বেশ কঠিন রাহুল দ্রাবিড়ের পক্ষে বলেই মনে হয়। তবে অন্য একটি সূত্র মতে, বাঁ-হাতি কিউয়ি ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে অভিজ্ঞ রাইট হ্যান্ড অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খেলানোর কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদবকে বসাতে পারেন ক্যাপ্টেন। আর অশ্বিন খেললে ৬ বোলার নিয়ে মাঠে নামতে হবে ভারতকে।
এদিকে ওয়াংখেড়ের লাল মাটির পিচ বরাবর ব্যাটিংয়ের জন্য সুবিধাজনক। পিচে বাউন্স থাকায় বল বল ও ব্যাটের সংযোগ হয় দারুণভাবে। তাই এই পিচে প্রথমে ব্যাট করে মোটামুটি ২৭০ – ২৮০ রান না তুললে লড়াইয়ে থাকাটা কঠিন। অন্যদিকে বোলাররা তেমন সুবিধা করতে না পারলেও স্পিনারদের জন্য কিছুটা সুবিধা দেয় এই পিচ। সব মিলিয়ে বুধবারের ম্যাচে কোটি কোটি ভারতবাসীর চোখ থাকবে ৪ বছর আগের প্রতিশোধ পূর্ণ করে ফাইনালে পৌঁছনো।