নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে কাণ্ডে নয়া মোড়। গণপিটুনিতে খুন হয় সাহাবুদ্দিন
শেখ। এর পর সাহাবুদ্দিনকে সিপিএম কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল। ঘটনার সঙ্গে সিপিএম যুক্ত
উল্লেখ করে বয়ান দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। তবে সাহাবুদ্দিনের পরিবারের দাবি তারা তৃণমূলের
ভোটার। নিহতের স্ত্রী দাবি করেছেন তারা তৃণমূলের সমর্থক এবং সিপিএমের সঙ্গে তাঁদের
কোন যোগ নেই।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সাহাবুদ্দিন সুপারি কিলিংয়ের যুক্ত
উল্লেখ থাকলেও এলাকাবাসীর দাবি দর্জির কাজ করতেন তিনি। এলাকায় কোন অসামাজিক কাজের সঙ্গে
এর আগে যুক্ত হননি তিনি এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। পরিবারের আরও দাবি সাহাবুদ্দিনকে ভুল
বুঝে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তা ঢাকতেই তাঁকে দুষ্কৃতি এবং বিরোধী দলের সদস্য বলে প্রচার
করা হচ্ছে। তাঁকে মারধর করে জোর করে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয় এবং তার পর পিটিয়ে খুন করা
হয় বলে দাবি মৃতের ভাইয়ের।
পরিবারের দাবির সঙ্গে সহমত দিলীপ ঘোষ। সংখ্যালঘুদের টার্গেট
করা হচ্ছে বললেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুন ও পালটা সংখ্যালঘু সিপিএম
কর্মীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে
প্রাতঃভ্রমণ শেষে বলেন, “এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ও ধংস লীলা আজ নয়।
অনেকদিন ধরেই হচ্ছে। বগটুই, বীরভূমের একাধিক জায়গা। মূলত
মুসলিম সমাজকে টার্গেট করা হচ্ছে। লড়াই ওদের মধ্যে করিয়ে দিয়ে সেটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। ওদের রাজনীতির বোড়ে
হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের নেতা বানিয়ে উৎসাহ দেওয়া
হচ্ছে। তারা যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। যারা সরকারি পার্টিতে আছে, তারা সংরক্ষণ পাচ্ছে। আর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক জিনিস বগটুইতে
হয়েছিল। সরকার কোথায়। মুখ্যমন্ত্রী কোথায়”।