নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মাঠে নেমেছিল বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু ’২৪-এর লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়িতে মত্ত হয়েছে তারা। আসন বন্টন সমস্যার পর জাতিভিত্তিক জনসুমারি নিয়ে ফাটল চওড়া হচ্ছে জোটের। রাহুল গান্ধীর ‘এক্স-রে’ মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে কংগ্রেসের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলনে সপা প্রধান অখিলেশ যাদব।
রবিবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জাতিভিত্তিক জনসুমারির পক্ষে সওয়াল করে বলেছিলেন, “এটা হল এক্স-রে, যা দেশের বিভিন্ন জাতি-সম্প্রদায় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে”। সোমবার রাহুলের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, “কংগ্রেস জাতিভিত্তিক জনসুমারির দাবি করছে, এটা তো মিরাকেল।”
উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন কেন জাতিভিত্তিক জনসুমারি করেনি? ওই সময়ে প্রয়োজন ছিল এক্স-রে। এখন আমাদের কাছে এমআরআই, সিটি স্ক্যান রয়েছে। যদি এই সমস্যার সমাধান আগেই করা হত, তবে সমাজে এই বিভাজনই থাকত না।”
এখানেই থেমে যাননি অখিলেশ। আরও বলেন, “আজ যারা এক্স-রে কথা বলছে, তারাই স্বাধীনতার পর জাতিভিত্তিক জনসুমারি বন্ধ করেছিল। যখন নেতাজি (মুলায়ম সিং যাদব) শরদ যাদব, লালু প্রসাদ যাদব ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন পার্টি লোকসভায় জনসুমারির দাবি তুলেছিল, তখন কংগ্রেস তা প্রত্যাখান করেছিল। এখন ওদের পুরনো ভোট ব্যাঙ্ক আর ওদের সঙ্গে নেই বুঝে এই দাবি তুলছে তারা। কিন্তু দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষেরা জানেন যে কংগ্রেস কীভাবে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।”
জাতিভিত্তিক জনসুমারি চেয়ে দেশে বিভাজনের সৃষ্টি করছে কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি সরকার সেই বিভেদ চায় না। একথা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, সংরক্ষণ ব্যবস্থা যদি মানুষের উন্নয়নের জন্য হয়, তাহলে তা জাতির উপর ভিত্তি করে নয় দারিদ্রতার উপর ভিত্তি করে হোক।