নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। রঙের উৎসব। নানা উপহার, রকমারি মিস্টির উৎসব। এই দিন রকমারি আলোর পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের মাটির প্রদীপ দিয়ে ঘর সাজানোয় মেতে ওঠে আপামর দেশবাসী। আর দীপাবলির আগে ধনতেরাসে সংসারের ধন-সম্পদ বৃদ্ধির জন্য বাসনপত্র, সোনা-রুপো, হীরের গয়না সহ বিভিন্ন সামগ্রী কেনাকাটায় মেতে ওঠে মানুষজন। আর এই উৎসবের বাজারে এবার তাক লাগিয়ে দিল ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’-এর জিনিসপত্র।
এবছর দেশবাসীর কাছে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সেই আহ্বানে সমর্থন জানিয়ে, CAIT সারা দেশের ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে তাদের এলাকার মহিলাদের দীপাবলি-সম্পর্কিত ব্যবসায়িক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করার আহ্বান জানায়। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া মিলেছে দেশবাসীর। ইতিমধ্যেই লাভের মুখও দেখতে শুরু করেছেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা।
সাধারণত দীপাবলির বাজারে চুটিয়ে ব্যবসা করে কম পয়সার বিখ্যাত চিনা লাইট। ঘরের ডেকোরেশনে রকমারি আলোর ব্যবহারের জন্য এই সমস্ত চিনা লাইটের প্রতি ঝোঁকে মানুষ। কিন্তু এবার দেশবাসীর মন কেড়েছে দেশীয় জিনিসপত্র। প্রায় সমস্ত কেনাকাটাই তারা করেছেন ভারতীয় পণ্যের। যার ফলে বিপুল লোকসান হতে চলেছে চিনের। দীপাবলি সংক্রান্ত চিনা পণ্য সেভাবে বিক্রি না হওয়ায় প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান করছে চিন বলে ব্যবসায়ী মহলের অনুমান।
ভারতীয় কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে, সংস্থার সভাপতি বিসি ভরতিয়ার এবং মহাসচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়ালা বলেন, “সারা দেশে দীপাবলি এবং ধনতেরাসের পর্ব হল ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। ভারতীয় সমাজ এই বিশেষ উৎসব-পার্বণে প্রচুর কেনা-কাটা এবং ব্যবসায়িক লেনদেন করে থাকেন। এই বছর এই ব্যবসার আনুমানিক বাণিজ্যের পরিমাণ হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।” আত্মনির্ভর ভারত, চিনকে আর্থিক ভাবে যে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে একথা বলাই বাহুল্য।