নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সইফু্দ্দিন লস্কর খুনে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগর।
এখনও দোলুইখাঁকি গ্রামের সিপিএম সমর্থকরা গ্রামে ঢুকতে পারেননি। এর মধ্যেই একাধিক
তথ্য উঠে এসেছে। প্রকাশ্যে এসেছে সইফুদ্দিন লস্করের নমাজ পড়তে যাওয়ার ভিডিও।
সোমবার সকালে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বামনগাছি
গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ও বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর।
তাঁর গতিবিধির খবর দিয়েছিল শাহরুল শেখ। ওই যুবকের বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের নেতড়া
এলাকায়। শাহরুলকে বরাত দেওয়া হয়। সেজন্য সে বামনগাছিতে এসে থাকতে শুরু করে। সোমবার
শাহরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে বারুইপুর থানায় রাখা হয়েছে।
শাহরুলের দাবি তাকে চুরি-ছিনতাইয়ের কথা বলে আনা
হয়েছিল। সে দর্জির কাজ করে। ঘটনায় মৃত সাহাবুদ্দিন লস্করের বাড়ি গোদাবর অঞ্চলে।
সাহাবুদ্দিনও দর্জির কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। সেই সূত্রেই শাহরুলের সঙ্গে
সাহাবুদ্দিনের পরিচয়। শাহরুল জানিয়েছে, সে প্রথমে কিছু টাকা পেয়েছিল। অর্থাৎ এই
কাজের জন্য বরাত পেয়েছিল। কিন্তু কে সইফুদ্দিন খুনের সুপারি দিয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে নমাজ পড়ার
জন্য বেরিয়েছেন সইফুদ্দিন লস্কর। পরে দুটি বাইক যেতে দেখা যায়। ওই বাইকে পাঁচজনের
ছবি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে। তবে গুলি করার মুহূর্তের ছবি নেই। জানা গিয়েছে একটি
গুলি সইফুদ্দিনের কাঁধে লাগে। এরপর পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা
তাকে মৃত ঘোষণা করে। অন্যদিকে, স্থানীয়রা জানান পালানোর সময় উল্টোদিক থেকে আসা অপর
একটি বাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে দুষ্কৃতীদের বাইকের। সে নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যেই
লোকজন জড়ো হয়ে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পালানোর সময় একজন ধরা পড়ে যায়। বেধড়ক
মারে সেই সাহাবুদ্দিনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বাইরের লোক নিয়ে এসে নজরদারি চালিয়ে
খুন করাল কে?
সুপারি কে দিয়েছিল? এ
বিষয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে।
জয়নগর
কাণ্ডে মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে একটি মামলা
হয়েছে। সাহাবুদ্দিন লস্করকে পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য একটি মামলা রুজু হয়েছে। আর
দোলুয়াখাঁকি গ্রামে সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তৃতীয় মামলাটি
রুজু হয়েছে।