নিউজ ডেস্ক: এক রাতে তিন মন্দিরে চুরি। এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া রাতভর দাপিয়ে
বেড়াল দুষ্কৃতীরা। তবে কেউ টের পেলেন না। চোখের সামনে হাত সাফাই করে ফেলে।
এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই ঘটনার জেরে
পুজো কার্যত বন্ধ। মাকে হারানোর মতো শোক পেয়েছেন বলে তাঁদের দাবি।
কেউ স্বপ্নেও ভাবেননি এমনটা হতে পারে। তাই কারও
মায়ের মূর্তির দিকেও নজর পড়েনি। ভাতারের ওরগ্রামের রায়পাড়ায় রয়েছে খেপি মায়ের
মন্দির। সেই মন্দির পাহারা দিয়ে এক ব্যক্তি শুয়েছিলেন। বহুদিন ধরেই শান্তি আখুড়ে
নামে ওই ব্যক্তি এই কাজ করে আসছেন। তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মায়ের জিভটা
নড়ে গেছে। বাড়ি গিয়ে চা খেতে খেতে সে কথা পরিবারের লোকজনকে বলেন। পরে দেখা যায়
মায়ের সোনা ও রুপোর গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, খেপি মায়ের ১০
ভরি সোনা ও ৫ কিলো রুপো চুরি গিয়েছে।
এই চুরির খবর ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র। তখনই ওর
গ্রামের নতুন পাড়ায় বড় মা কালীর মন্দির কর্তৃপক্ষের কানেও ওঠে সে কথা। তখনই তারা
মায়ের দিকে নজর দেন। দেখতে পান সেখানেও কালী মায়ের গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৫
ভরি সোনা ও ১০০ ভরি রুপো চুরি গিয়েছে বলে দাবি মন্দির কর্তৃপক্ষের। মঙ্গলবার সকালে
ওই ঘটনার ফলে বন্ধ হয়ে যায় ভাসান। রীতি মেনে মঙ্গলবার সকালে ভাসানের কথা ছিল।
কিন্তু তা তখন হয়নি।
আবার ওর গ্রামের রায়পাড়ায় রয়েছে আর একটি
মন্দির যা ছোট মা নামে পরিচিত। সেখানেও চুরি গয়েছে মায়ের গয়না। ছোট মায়ের মন্দির
থেকে এক ভরি সোনা ও ৪ ভরি রুপো চুরি গিয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কীভাবে পরপর তিনটি মন্দিরে চুরি হল তা নিয়ে
ধন্দে এলাকাবাসী। দক্ষ দুষ্কৃতীর কাজ বলেন ধারণা স্থআনীয়দের। তবে একজন ছিল না কোনও
দল মিলে এই কাজ করেছে পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।