নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের দলুয়াখাকির তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে
খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনিসুর রহমান লস্করকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধরা পড়েছেন কামালউদ্দিন ঢালি নামে আর এক অভিযুক্তও। পুলিশ সূত্রে দাবি, তৃণমূল নেতাকে গুলি করার
দায়িত্ব গ্রেফতার হওয়া শাহরুল শেখ এবং গণপ্রহারে মৃত সাহাবুদ্দিনের উপর থাকলেও,
খুনের গোটা পরিকল্পনা করেছিল আনিসুরেরই। তাঁকে
এবং শাহরুলকে জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে।
তদন্তকারীদের একটি সূত্রের আরও দাবি, সইফুদ্দিন
খুনে তাঁর বাড়ির লোকও জড়িত রয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পর শাহরুল নাসিরও ‘বড় ভাই’য়ের
নাম করেছিলেন প্রকাশ্যে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বড়
ভাই’ হলেন আলাউদ্দিন সাপুই। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের মত, সাহাবুদ্দিন
ও শাহারুলকে খুনের বরাত দিয়েছিল নাসির এবং ‘বড় ভাই’। যদিও ‘বড় ভাই’ সম্পর্কে এখন
তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলেই প্রকাশ্যে জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা।শুধু তাই নয়, খুনের জন্য দেওয়া হয়েছিল লক্ষাধিক টাকার সুপারি। যদিও সাহাবুদ্দিন শেখকে পিটিয়ে যারা মারলেন তাঁদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি
পুলিশ।
অন্যদিকে এদিন ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে এবার
বাধার মুখে পড়ল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। গুদামের হাট এলাকায়
তাদের আটকায় পুলিশ। আইনের বই হাতে তাদের আটকানোর কারণ জানতে চান। এর আগে বাম
প্রতিনিধি দল ও নওশাদকেও এলাকায় ঢুকতে দেয়নি প্রশাসন। বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ
বিশ্বাস জানান শুধু গ্রামের লোকেরাই গ্রামে থাকবে। গ্রামে শান্তি বজায় রাখতেই এই
সিদ্ধান্ত। গ্রামে ঢোকার আগে রাস্তায় পুলিশ গাড়ি রেখে আটকে দিয়েছে। ঘটনার
প্রতিবাদে রাস্তা য় বসে পথ অবরোধ কংগ্রেস কর্মীদের। কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন জয়ন্ত দাস,
অসিত মিত্র, প্রতাপ মন্ডল, আশুতোষ চ্যাটার্জি, সৌম আইচ রায়।